কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে সুধাকরের বিস্ফোরক দাবি ঘিরে উত্তাল সে রাজ্যের বিধানসভা থেকে গোটা রাজনৈতিক মহল। তিনি নাকি দাবি করেন, ২২৫ বিধায়কেরই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তদন্ত হোক। তাহলেই জানা যাবে কার ক’টি অবৈধ বা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। যা নিয়ে বুধবার থেকে কর্ণাটকের রাজনৈতিক মহলে বিতর্কের ঝড় শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কর্ণাটক বিধানসভাতেও তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। তার পর সুধাকর আবার দাবি করেন, তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এর জন্য তিনি দুঃখিত।
অভিযোগ, এর আগে সুধাকর বলেন, ‘কংগ্রেস এবং জেডি(এস)-এর বিরোধী দলের নেতারা, যাঁরা নিজেদের মর্যাদা পুরুষ এবং শ্রীরামচন্দ্র বলে দাবি করেছেন তাঁদেরকে চ্যালেঞ্জ করতে চাই। ২২৫ বিধায়কই এই তদন্তের মুখোমুখি হোন। তাহলেই প্রমাণ হয়ে যাবে কার কার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। আমার বিরুদ্ধেও এই তদন্ত হোক’। বেঙ্গালুরুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি দাবি করেন, কে কখন মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় কী করেছিলেন, সবার সব চরিত্র জানা যাবে, তদন্ত হোক। এই তদন্তের মধ্যে মন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা, সব বিধায়ককেই আনা হোক। তিনি সরাসরি বিরোধী দলনেতা সিদ্ধারামাইয়া, কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি ডিকে শিবকুমার, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জেডি (এস) নেতা এইচডি কুমারস্বামীর নাম করে বলেন, ‘যদি সাহস থাকে তবে এই প্রস্তাবকে সমর্থন করুন’।
ঘটনার সূত্রপাত চলতি মাসের প্রথমের দিকে। সে সময় সুধাকরদের এক সহকর্মী রমেশ জারকিহোলি জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী পদ ছাড়তে বাধ্য হন। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে যেখানে তাঁকে যৌনতায় লিপ্ত থাকতে দেখা যায় বলে অভিযোগ। যদি ভিডিওটি ভুয়ো বলে দাবি করেন রমেশ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি পদত্যাগ করেন।