তিক্ততা পুরোপুরি না কাটলেও সমর্থক এবং ক্লাবের কথা ভেবে কিছুটা নমনীয় হয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ও বিনিয়োগকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্ট। গত কয়েক সপ্তাহে ফাইনাল টার্মশিটে সই করা নিয়ে তিক্ততা বেড়েছে অনেকটাই। তবে বর্তমানে এত তিক্ততার মধ্যেও চুক্তিতে সই নিয়ে আশাবাদী দুই পক্ষই।
সোমবার প্রয়াত ক্লাব কর্তা দীপক দাসের ২০তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। সেখানে লাল-হলুদ কর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, ‘‘আমরা আশা করছি সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি মিটে যাবে।’’ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিনিয়োগকারী সংস্থার পক্ষে এবং এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্তা শিবাজি সমাদ্দারও। ময়দানের নিতুদার পাশাপাশি তিনিও এই বিষয়ে ভীষণই আশাবাদী। বলেন, ‘‘সব সমস্যা শীঘ্রই মিটে যাবে।’’
তবে সূত্রের খবর, টার্ম শিটের সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তির পার্থক্য থাকায় ক্ষুব্ধ ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। ক্লাবেরই একটি সূত্রে জানা গেল, বিনিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে তিনটি বিষয় নিয়ে মূল সমস্যা। প্রথমত, স্পোর্টস রাইটস যদি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ফেরত পেতে চায়, তবে টাকা দিতে হবে তাদের। দ্বিতীয়ত, ক্লাব চলে ফোর্ট উইলিয়ামের দেওয়া লিজের ভিত্তিতে। কিন্তু লিজ নয়, এবার পুরো ক্লাবেরই দখল চাইছে শ্রী সিমেন্ট, যা দিতে অপারগ লাল হলুদ কর্তারা। তৃতীয়ত, চুক্তিপত্রে নাকি বলা আছে, ক্লাবের অফিস বাইরে নিয়ে যেতে হবে। তবে এই সমস্ত কিছুই ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে বিনিয়োগকারী সংস্থা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তার দাবি, ‘‘এরকম কোনও চুক্তির কথা বলা নেই। তবে আমরা আশাবাদী সব মিটে যাবে।’’ এদিকে, দেবব্রত সরকার বলেন, “আমরা সকলের জন্য টার্ম শিট ও চুক্তিপত্র প্রকাশ করতে রাজি। সকলে নিজেদের মতামত জানান আমাদের কী করা উচিত। তবে আমরা এই সমস্যা কাটিয়ে উঠব। আমার বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্ণধার হরিমোহন বাঙ্গুরকে বলতে চাই কে বা কারা আমাদের এই চুক্তিতে বাধা দিচ্ছে তা বুঝুন। আমাদের সঙ্গে কথা বললে পুরো বিষয়টা ওঁর কাছেও স্পষ্ট হয়ে যাবে। টাকা দিয়ে ঐতিহ্য কেনা সম্ভব নয়। এটা মাথায় রাখা দরকার।”