এখনও অব্যাহত ধোঁয়াশা। লাল-হলুদের চুক্তি-জট কবে কাটবে তা নিয়ে জল্পনা চলছেই। তবে ফুটবলারদের বকেয়া না মেটানোয় নতুন মরসুমে জুন ও জানুয়ারিতে ফুটবলারদের সই করানোর ক্ষেত্রে যে নিষেধাজ্ঞা (ট্রান্সফার ব্যান) জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন, চূড়ান্ত অঘটন না ঘটলে তা প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত মরসুমে চুক্তি অনুযায়ী অর্থ না পেয়ে প্রথমে আগের বিনিয়োগকারী সংস্থাকে নোটিশ পাঠিয়েছিলেন পিন্টু মাহাতো, রক্ষিত দাগার, অভিষেক অম্বেকর-সহ ইস্টবেঙ্গলের সাত ফুটবলার। কিন্তু তারা বকেয়া মেটাতে অস্বীকার করে। জানিয়ে দেয়, ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। তাই ফুটবলারদের বকেয়া মেটানোর দায়িত্ব ইস্টবেঙ্গল ক্লাবেরই। তার পরে ফেডারেশনের দ্বারস্থ হন ফুটবলারেরা। অভিযোগ করেন ভারতের ফুটবলারদের সংস্থার (এফপিএআই) কাছেও। এর পরেই ভারতের ফুটবল নিয়ামক সংস্থা চিঠি দেয় ইস্টবেঙ্গলকে।
উল্লেখ্য, গত ২৪শে ফেব্রুয়ারি ফের ফেডারেশনের তরফে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে চিঠি দিয়ে অবিলম্বে ফুটবলারদের বকেয়া মেটাতে বলা হয়েছিল। নির্দেশ অমান্য করলে এই মরসুমে ফুটবলার সই করানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। এই চিঠি পাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এআইএফএফ-র অ্যাপিল কমিটির কাছে আবেদন করেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের কর্তারা। তাঁরা জানান, করোনা অতিমারী আবহের মধ্যে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা হয়েছে। গত মরসুমে ফুটবলারদের অর্থ যে বকেয়া রয়েছে, সেই তথ্যও তাঁদের দেওয়া হয়নি ইস্টবেঙ্গলের তরফে। তা ছাড়া চূড়ান্ত চুক্তিও এখনও স্বাক্ষরিত হয়নি। তাই ফুটবলার সই করানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা যেন জারি না করা হয়। এসসি ইস্টবেঙ্গলের আবেদনের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার আলোচনায় বসেছিলেন অ্যাপিল কমিটির সদস্যেরা। ভারতীয় ফুটবলে লাল-হলুদের অবদান ও ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে সদস্যদের অধিকাংশই নিষেধাজ্ঞা জারি না করার পক্ষে সওয়াল করেছেন বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, কয়েক দিনের মধ্যেই সরকারি ভাবে লাল-হলুদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে এআইএফএফ। তবে গত মরসুমের ফিজিক্যাল ট্রেনার কার্লোস নোদারকে নিয়ে অস্বস্তি থেকেই যাচ্ছে। ফিফা দ্রুত তাঁর বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে।