অতীতে ইভিএম নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে তৃণমূল-সহ বিরোধী দলগুলি৷ রাজ্যে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের এনে ভোট লুঠের ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে খোদ রেলমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও কিছুদিন আগে সরব হয়েছেন৷ পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার আশঙ্কা প্রকাশ করে বললেন, দলীয় কর্মীদের কিছু খাইয়ে ইভিএম দখল করার চেষ্টা করা হতে পারে!
এ দিন এগরার সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইলেকশনের আগে বহিরাগতদের দিয়ে ভয় দেখাবে, বুথ দখলের চেষ্টা করবে৷ ভোট বাক্স পাহারা দিয়ে রাখতে হবে একমাস৷ কিছু খাইয়ে দিয়ে যেন ভোট বাক্স লুঠ করতে না পারে৷ কুড়ি পঁচিশজনের টিম রাখবেন৷ যদি কেন্দ্রীয় বা রাজ্য পুলিশের কেউ বলে আপনারা চলে যান আমরা দেখে রাখব, মনে রাখবেন ওটা ওদের কাজ না আমাদের কাজ৷’
কয়েকদিন আগে পুরুলিয়ায় প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, ট্রেনে করে রাজ্যে বহিরাগতদের নিয়ে এসে ভোট লুঠ করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে৷ খোদ রেলমন্ত্রী অফিসারদের ডেকে এই বহিরাগতদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন মমতা৷ তার পর এ দিন তৃণমূলনেত্রী যে অভিযোগ তুললেন, তাও রীতিমতো চাঞ্চল্যকর৷
বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণ নিয়েও মোদী সরকারকে তোপ দাগেন মমতা। দাবি করেন, শাস চালানোর জন্য মোদী সরকার একেবারেই অযোগ্য। দুর্নীতি হয়। দাঙ্গা ছড়ানো হয়। মমতার কথায়, ‘যারা রেল বিক্রি করে দিচ্ছে, যারা কোল বিক্রি করে দিচ্ছে, যারা বিএসএনএল বিক্রি করে দিচ্ছে, যারা ব্যাঙ্ক বিক্রি করে দিচ্ছে, যারা বিমা (সংস্থা) বিক্রি করে দিচ্ছে, আপনি আপনার টাকা ব্যাঙ্কে রেখেছেন, আপনার টাকা আপনি ব্যাঙ্কে রেখেছেন, যদি ফেরত না পান, তাহলে আপনার ভবিষ্যৎ কী হবে? মনে রাখবেন, নরেন্দ্র মোদীর সরকার একটা অযোগ্য সরকার, একটা দুর্নীতির সরকার, একটা দাঙ্গাবাজ সরকার। লুঠ-দাঙ্গা-মানুষ খুন – বিজেপির তিনটে গুণ। মনে রাখবেন, তাই ওদের একটাও ভোট নয়।’