খুলল না জট। লগ্নিকারী ও ক্লাব, দুই শিবির নিজেদের অবস্থান থেকে সরতে রাজি নয়। ফলে চুক্তি-সমস্যা মেটার সম্ভাবনা এখনও নেই।বিনিয়োগকারীদের শর্ত মেনে কি আদৌ চূড়ান্ত চুক্তিতে সই করবে ইস্টবেঙ্গল ? অগণিত সমর্থকদের মনে এই দুটো প্রশ্নের উত্তর এখনও অনিশ্চিত। বুধবার কার্যকরী কমিটির সাড়ে তিন ঘণ্টার বৈঠকেও কিন্তু কোনও ইতিবাচক দিক পাওয়া গেল না। বরং লাল-হলুদের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার জানিয়ে দিলেন তাঁরা নিজেদের অবস্থানে এখনও অনড়। অন্য দিকে শ্রী সিমেন্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হরিমোহন বাঙ্গুরও তাঁর অবস্থান থেকে সরতে নারাজ। তাঁর শিবিরের স্পষ্ট দাবি, চূড়ান্ত চুক্তিতে ক্লাব সই না করলে তাঁদের তরফ থেকে আর বিনিয়োগ করা সম্ভব নয়। ফলে ইস্টবেঙ্গলের ভবিষ্যৎ এখনও ধোঁয়াশায়।
এদিন ক্লাবে তিন ঘণ্টার বৈঠকের পর দেবব্রত সরকার জানান, “চুক্তির কয়েকটা বিষয় নিয়ে আমাদের আপত্তি ছিল। সেই জন্য গত ২রা ডিসেম্বর ক্লাব ও শ্রী সিমেন্টের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী তরুণ ঝুনঝুনওয়ালার কাছে একটি খসড়া পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এর কোনও জবাব এখনও আসেনি। তবে এই খসড়ার ভিত্তিতে বৈঠক হলে আমরা আলোচনা করতে রাজি। এরপরেও যদি ফের সমস্যা তৈরি হয়, তাহলে ফের একবার সদস্য-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।”
যদিও বিনিয়োগকারীদের তরফ থেকে আগামী ৩১শে মার্চ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে ভারতে আসছেন হরি মোহন বাঙ্গুর ও প্রশান্ত বাঙ্গুর। এরপর ২৪শে মার্চ তাঁদের কলকাতায় আসার কথা। শোনা গিয়েছিল, ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন তাঁরা। তবে ক্লাবে বুধবারের বৈঠকের পর সেই আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ গত ১লা সেপ্টেম্বর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে যে চুক্তিপত্রে সই করা হয়েছিল সেটা মেনেই এগোতে চাইছেন হরিমোহন বাঙ্গুর। চুক্তিতে সই করার সময় যে যে শর্ত দেওয়া হয়েছিল সেগুলোই বজায় রাখতে হবে। সেটা মানলে ভাল। আর না মানলে বিচ্ছেদ নিশ্চিত। গত মরসুমে প্রায় ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়ে গিয়েছে। এরপর আর অর্থ বিনিয়োগ করা সম্ভব নয়, জানিয়েছেন তাঁরা।