আজ ১৪ মার্চ, নন্দীগ্রাম দিবস। তাই হাজার অসুবিধা থাকলেও বাড়িতে বসে না থেকে রাস্তায় নামলেন তিনি। বাঁ পায়ে বড় আঘাত রয়েছে। কিন্তু মানুষ যে তাঁকেই পাশে চায়। যিনি এই নন্দীগ্রামে গিয়েই সম্প্রতি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। সকালে নন্দীগ্রাম দিবস উপলক্ষ্যে টুইট করেছিলেন। শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেছেন সেদিন যাঁরা পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন তাঁদের জন্য। তিনি যে পুরোনো ইতিহাস ভোলেন না। তাই তো কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। প্রার্থী হয়েছেন নন্দীগ্রাম থেকেই। কারণ সেখানের মানুষের সর্বক্ষণের সঙ্গী হতে চাইছেন তিনি। যাঁরা তাঁর দিকে তাকিয়ে আছেন। হ্যাঁ, তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ গোটা বাংলার মানুষের জন্য তিনি রাজপথে নেমেছেন। সঙ্গী সেই হুইল চেয়ার।
একুশের নির্বাচনেও নজরকাড়া কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। কারণ এবারে সেখান থেকেই লড়াই করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপির তরফে শুভেন্দু অধিকারী। পায়ে চোটের পর এটাই প্রথম প্রচার মমতার। আজ ‘নন্দীগ্রাম দিবস’ উপলক্ষ্যে কলকাতার মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশ থেকে হাজরা পর্যন্ত একটি মিছিলের ডাক দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানেই হুইল চেয়ারে বসে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আঘাত পাওয়ার কারণেই আজ হাঁটতে পারলেন না মহামিছিলে। তবে মিছিল শুরুর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ভাঙা পায়েই খেলা হবে।”
তবে এই কর্মসূচি উপলক্ষ্যে বিশেষ মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর সুবিধার্থে গান্ধী মূর্তির কাছে তৈরি সেই মঞ্চে লাগানো হয়েছিল র্যাম্পও। এখান থেকেই হুইল চেয়ারে বসে রোড-শোয়ের নেতৃত্ব দেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের আঁটোসাঁটো ব্যবস্থা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বুধবারই নন্দীগ্রামে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে গিয়ে আহত হন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৪৮ ঘণ্টা হাসপাতালেও থাকতে হয় তাঁকে। শুক্রবারই বাড়ি ফিরেছেন তিনি। মাঝে একটা দিন বিশ্রাম নিয়ে রবিবার থেকে ফের ভোটের ময়দানে।