শিয়রে বিধানসভা নির্বাচন। সারাদেশের নজর আটকে বাংলায়। সীমানা ছাড়িয়ে বঙ্গ ভোটের গনগনে আঁচ পোহাচ্ছে গোটা দেশ। ব্যতিক্রমী নয় পড়শী রাজ্য উড়িষ্যাও।
রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী সাফল্য কামনায় পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরে পুজো, যজ্ঞ শুরু হয়েছে। উদ্যোগ পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরের মুখ্য দৈতাপতি রাজেশ দৈতাপতির। দিন কয়েক আগে কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে মহাপ্রভু জগন্নাথ দেবের পুজোর ছবি প্রকাশ্যে এসেছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, জগন্নাথ দেবের শহরেও ছবিটা অভিন্ন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী সাফল্য প্রার্থনায় পুরীতে মহাপ্রভুর মন্দিরে নিয়মিত চলছে শত্রু খন্ডন ও শান্তি পুজো। ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই প্রতিদিন সকালে মহাপ্রভু জগন্নাথ দেবের সামনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে শত্রু খন্ডন পুজো করছেন পুরীর মন্দিরের মুখ্য দৈতপতি রাজেশ দৈতাপতি।
রাজেশ দৈতপতি জানান, ‘ফেব্রুয়ারি মাসে থেকে পুজো শুরু হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত নিয়ম করে প্রতিদিন সকালে এই ভাবেই পুজো হবে।’ বাংলার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন সম্পর্কে আগাম ভবিষ্যৎবাণীও করেন পুরীর মন্দিরের মুখ্য দৈতাপতি। মহাপ্রভু জগন্নাথ দেবকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া মহাদীপ জ্বালানো হয় মহাপ্রভুর সামনে। শেষ বার যখন পুরীতে এসেছিলেন, তখন মহাপ্রভুর মন্দিরে এই মহাদীপ দান করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুধুমাত্র পুরীর মন্দিরে নয়, খোদ কলকাতার মুদিয়ালিতে জগন্নাথ দেবের অন্য এক মন্দিরেও প্রতি পূর্ণিমাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে পুজো ও ভোগ দেওয়া শুরু হয়েছে। কোনও দিন অন্নভোগ তো কোনও দিন মালপোয়া থাকে ভোগের তালিকায়। কোনও দিন আবার জগন্নাথ দেবকে রাবড়ি বা ফিরনি ভোগ হিসেবে দেওয়া হয়।