ইতিমধ্যেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। আর এমন পরিস্থিতিতেই রাজ্যের একাধিক জেলায় বাড়ছে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যা এবার চোখে পড়ল ঝাড়গ্রামেও। সেখানে বিধানসভা আসন মাত্র চারটি। অথচ প্রার্থী হতে চান অন্তত ১০০ জন! এমনই নাকি অবস্থা ঝাড়গ্রাম বিজেপির অন্দরে। ইতিমধ্যেই বিজেপির ড্রপ বক্সে শতাধিক নাম জমা পড়েছে বলে খবর। এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলও।
নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। এখন দলগুলির প্রার্থী ঘোষণার পালা। সেই প্রার্থী বাছাই করতে গিয়ে বেজায় বিড়ম্বনায় পড়ছে গেরুয়া শিবির। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রামে বিজেপির জেলার বিভিন্ন সাধারণ সম্পাদক থেকে শুরু করে যুবমোর্চা, মহিলামোর্চা-সহ আরও অন্যান্য শাখা সংগঠনের বিভিন্ন নেতা-নেত্রীরা সকলেই প্রার্থী হতে চেয়েছেন। এই ঘটনায় জেলায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম জেলার চারটে বিধানসভার জন্য মহিলা মোর্চার জেলা সভাপতি, জেলা পর্যবেক্ষক, এসটি মোর্চার জেলা সভাপতি, যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক, জেলার যুব মোর্চার এক রাজ্য নেতা, বিজেপির মুখপাত্র-সহ জেলার বিভিন্ন মন্ডলের সভাপতিদের নামও গিয়েছে প্রার্থী হওয়ার জন্য। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর ব্যপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হতে পারে বিজেপিতে। এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়নি ঝাড়গ্রাম তৃণমূলের নেতৃত্ব। রাজ্য তৃণমূলের অন্যতম সম্পাদক ছত্রধর মাহাতো বলেন, “বিজেপিতে এখন সার্কাস চলে। কোনও শৃঙ্খলা নেই। সবই টাকা হাতানোর কৌশল। ভাবছে প্রার্থী হয়ে গেলে টাকা পাব। এদের অগাধ টাকা। দলের সদস্যরা ভাবছে কীভাবে টাকা হাতাব।”