আজ রবিবাসরীয় দুপুরের বাম-কং-আইএসএফের যৌথ ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে দলগুলোকে তীব্র খোঁচা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন ব্রিগেড ভরানো এক কথা আর রাজ্যে ভোটে জিতে ক্ষমতা দখল করা অন্য কথা। বামেদের কিছু নির্দিষ্ট কর্মী রয়েছেন তাঁরা এখনও পর্যন্ত দলীয় নির্দেশ মেন চলেন আর নির্দেশ পালন করতেই তাঁরা ব্রিগেডে আসেন। কিন্তু ভোটে জিততে গেলে মানুষের পাশে থাকা অত্যন্ত জরুরি, যেটা এই রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসই পারে বলেও জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।
অন্যদিকে আব্বাস সিদ্দিকি ইস্যুতে ফিরহাদ হাকিম রীতিমত কটাক্ষ করেন বামেদের। তিনি বলেন, এই রাজ্যে কংগ্রেস ও সিপিএম একে অপরের হাত ধরে হাঁটার চেষ্টা করছিল। কিন্তু মাঝখান থেকে আব্বাস সিদ্দিকি একটা ক্র্যাচ নিয়ে এসে হাজির হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ব্রিগেডেও স্পষ্ট হয়েছে জোটের ফাটল। কারণ মঞ্চে যখন আব্বাস সিদ্দিকি ওঠে তখন, সবাই তাঁকে স্বাগত জানায়। উপস্থিত জনতারাও আব্বাসের নামে স্লোগান তোলে। কিন্তু অধীর চৌধুরী যখন উপস্থিত হয়েছিলেন তখন এই জাতীয় ঘটনা ঘটেনি। ফিরহাদের কথায় এই ঘটনায় কিছুটা হলেও অপ্রস্তুতে পড়ে যান অধীর চৌধুরী।
এদিন ফিরহার হাকিম বলেন বামেরা ক্ষমতায় থাকার সময় কংগ্রেস কর্মীদের নির্বিচারে হত্যা করেছিল। ২১ জুলাই মহাকরণ অভিযানে গুলি চালিয়ে ছিল। চরম অত্যাচার চালিয়েছিল। কিন্তু এখন বামেদের ভরসাতেই বাংলায় পথ চলছে কংগ্রেস। এরপর ফিরহাদ হাকিম বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যে ক্ষমতায় ছিলেন, আছেন আর থাকবেন। আগামী দিনে আরও একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।