জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আট দফার বঙ্গ নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে নির্বাচন। আর ভোটের ঘণ্টা বাজতেই আবার সক্রিয় প্রশান্ত কিশোর। শেষবার বলেছিলেন, বিজেপি দুই অঙ্ক পার করতে পারবে না। এবার আরও একবার চ্যালেঞ্জ দেওয়ার চেনা ঢঙেই প্রশান্ত কিশোর বললেন, বাংলার মানুষ ঘরের মেয়েকেই আপন করে নেবেন।
শনিবার সকাল দশটা নাগাদ নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে প্রশান্ত কিশোর লেখেন, দেশের গণতন্ত্র রক্ষার মহারণটা বাংলা থেকেই লড়া হবে। এবং সেই লড়াইয়ে বার্তা দেওয়ার জন্য বাংলার মানুষ তৈরি। সময় মতো সঠিক তাসটি ফেলতে বদ্ধপরিকর তাঁরা। কী সেই তাস? প্রশান্তের জবাবে তৃণমূলের নতুন স্লোগান-বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়।
এখানেই থামেমনি প্রশান্ত কিশোর। তিনি চ্যালেঞ্জ নিয়ে পুনশ্চ অংশে বলেছেন, নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিনে তাঁর কথা না মিললে জবাবদিহি করবেন তিনি। অর্থাৎ টুইটটিকেই তাঁর শেষ কথা হিসেবে ধরে নিতে বলছেন তিনি।
দিন কয়েক আগেই ধূমধাম করে স্লোগান লঞ্চ করে তৃণমূল। অতীতে মা মাটি মানুষ থেকে শুরু করে বদলা নয় বদল চাই-এর মতো স্লোগানের জনপ্রিয়তা তৃণমূলকে ব্যাপক ডিভিডেন্ট দিয়েছিল। এবার, দলের জন্য প্রকৃত কঠিন সময়ে তৃণমূল তাই চাইছিল একটি মুখে মুখে ফেরার স্লোগান। সামনে আসে-বাংলা তার মেয়েকেই চায় স্লোগানটি। পর্যবেক্ষকদের মত, অনেক চিন্তাভাবনার ফসল এই পাঁচ শব্দের স্লোগান। এখানে ‘বহিরাগত’ বনাম বাঙালি তত্ত্বটিকে জিইয়ে রাখা রয়েছে। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরের মেয়ে ইমেজটিকে জিইয়ে রাখা রয়েছে। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা এই স্লোগান তৈরিতে প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর দলবদলের ভূমিকাও কম নয়। প্রশান্ত কিশোর অবশ্য এই নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি অতীতে। এই প্রথম তিনি এই স্লোগানটিকে তাস করলেন, স্লোগান সম্বলিত পোস্টারও শেয়ার করলেন চ্যালেঞ্জ দেওয়ার ঢঙে। এখন দেখার এই মগজাস্ত্রের দৌড় কতদূর।