প্রাক-ভোটযুদ্ধের সরগরম আবহাওয়ায় গেরুয়াশিবিরকে ফের হুঁশিয়ারি দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। “যতই সিবিআই, ইডি লেলিয়ে দিন, কোনও লাভ হবে না। আমার জেদ দ্বিগুণ।” স্ত্রী রুজিরাকে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরের জনসভা থেকে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূল সাংসদ। বুঝিয়ে দিলেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জেরার মুখে তৃণমূল তথা দলের সদস্যদের পরিবারকে মোটেও চাপে ফেলা যাবে না। অভিষেক চ্যালেঞ্জের সুরে আরও বললেন, “মানুষ সব জবাব দেবে ভোটে। এবার তৃণমূল ২৫০-র বেশি আসন পাবে।”
কয়লা কাণ্ডে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য গত রবিবার নোটিস পাঠায় সিবিআই। সোমবারই তার উত্তর দিয়ে রুজিরা জানান যে তিনি মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। মঙ্গলবার সেই মতো ৮ সদস্যের সিবিআই দল অভিষেকের ‘শান্তিনিকেতন’-এ গিয়ে রুজিরাকে প্রায় সওয়া এক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে। বিদেশি ব্যাঙ্কে লেনদেন নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করেন সিবিআই আধিকারিকরা। এ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তীব্র আক্রমণ করেছিলেন বিজেপিকে। তাঁর কটাক্ষ ছিল, “ঘরের বউকে বলছে কয়লা চোর !” ঠিক তার পরেরদিন ঠাকুরনগরের সভা থেকে অভিষেকও স্ত্রীকে সিবিআইয়ের জেরা নিয়ে কড়া ভাষাতেই জবাব দিলেন। নাম না করে বিজেপির বিরুদ্ধে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াইয়ের বার্তা দিলেন অভিষেক।
এদিন দুপুরে ঠাকুরনগরে মতুয়া অধ্যুষিত এলাকায় জনসভা করতে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি মাসের গোড়ার দিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এখানে এসে সভা করেছিলেন। সেখান থেকে তিনি মতুয়াদের নাগরিকত্ব নিয়ে আশ্বাস দিতে গিয়ে জানিয়েছিলেন যে করোনার টিকাকরণ শেষ হলেই সিএএ লাগু করা হবে। তারই পাল্টা সভায় আজ একই মাঠে হাজির ছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন প্রথমে তিনি মতুয়াদের মূল উপাসনাস্থল হরিচাঁদ মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন। এরপর সেখান থেকে সোজা সভাস্থলের মাঠে পৌঁছে যান। সেখান থেকেই সিবিআই জেরা, নাগরিকত্ব ইস্যু-সহ একাধিক বিষয়ে বিজেপির উদ্দেশে একের পর এক তোপ দাগেন তৃণমূল সাংসদ। উত্তর দিলেন স্লোগান ইস্যুতেও। “আমার গলা কেটে দিলেও, গলা থেকে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানই বেরবে।” জানান অভিষেক।