২০১৮ সাল থেকেই মন্দার কোপে জর্জরিত বিমান সংস্থাগুলি। সেই পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে করোনা অতিমারি। লকডাউনের জেরে প্রায় দু’মাস বন্ধ থাকার পর যখন ফের বিমান পরিষেবা শুরু হয়েছে, তখনই বিমান জ্বালানির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে তেল বিপণনকারী সংস্থাগুলি। এর জেরেই বেকায়দায় পড়ে বিমান সংস্থাগুলি। এদিকে মোট আসন সংখ্যার কম যাত্রী নিয়ে যাওয়ায় কিছুটা আর্থিক ক্ষতির মুখেও পড়তে হয়েছে তাদের। এই পরিস্থিতিতে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বেড়ে গেল ঘরোয়া বিমানে যাতায়াতের খরচ। সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে ঘরোয়া বিমানের ভাড়া।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন রুটের ওপর নির্ভর করে ন্যূনতম এবং সর্বোচ্চ ভাড়া বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত ঘরোয়া বিমান ক্ষমতার ৮০ শতাংশ পর্যন্ত যাত্রী বহন করতে পারবে। জানা গিয়েছে, ন্যূনতম ভাড়া বাড়তে পারে ১০ শতাংশ, অন্যদিকে সর্বোচ্চ ভাড়া বাড়বে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত। বর্তমানে দিল্লী-মুম্বইয়ের ভাড়ার তালিকা রয়েছে ৩,৫০০-১০০০০ টাকার মধ্যে। এটাই বেড়ে হচ্ছে ৩,৯০০-১৩,০০০ টাকা। এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে আরও অন্যান্য ফি। এর ফলে যাত্রীদের ওপর বোঝা আরও বাড়ল।
উল্লেখ্য, গত বছরের মে মাসে অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রক উড়ানের সময়ের ওপর নির্ভর করে শ্রেণিবিন্যাস করেছিল। মোট সাতটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছিল ওই সময়। তবে উড়ানের ভাড়াবৃদ্ধির অন্যতম কারণটি হল জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়া। ৪০ মিনিট পর্যন্ত উড়ানের ক্ষেত্রে পুরনো ভাড়া ছিল ২,০০০-৬,০০০ টাকা। নতুন ভাড়া হবে ২,২০০-৭,৮০০ টাকা। ৪০-৬০ মিনিট পর্যন্ত উড়ানে পুরনো ভাড়া ছিল ২,৫০০-৭,৫০০ টাকা। বর্তমানে ভাড়া হবে ২,৮০০-৯,৮০০ টাকা। আবার, ৬০-৯০ মিনিট পর্যন্ত উড়ানের ক্ষেত্রে পুরনো ভাড়া ছিল ৩,০০০-৯,০০০ টাকা। আর নতুন ভাড়া হবে ৩,৩০০-১১,৭০০ টাকা।