কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন এই মুহূ্র্তে এই দুটো ভ্যাকসিন ভারতে পাওয়া যাচ্ছে৷ মারণ করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এই দুটি ভ্যাকসিনই এখন ভরসা৷ প্রথমপর্বের ভ্যাকসিন বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই পৌঁছে যাচ্ছে৷ ভারতের স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন ,সামনের মাসগুলিতে এই ভ্যাকসিন কোম্পানিকে আপৎকালীন মঞ্জুরি দেওয়া হতে পারে যাতে আরও কয়েকটি সংস্থা করোনা ভ্যাকসিন বাজারে আনতে পারে৷
স্পুটনিক ভি এখনও অবধি সুরক্ষাবলয় এখনও অবধি ৯০ শতাংশ কার্যকারী প্রমাণিত হয়েছে৷ রাশিয়া এই ভ্যাকসিন তৈরি করছে৷ ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভারতে এই কোম্পানির ভ্যাকসিন কাজ করছে৷ এদেরও তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল চলছে৷ স্বাস্থমন্ত্রক জানিয়েছে এই ভ্যাকসিন ভারতে তৈরি হবে পাশাপাশি ব্যবহার হবে৷ ভ্যাকসিন প্রস্তুতকর্তাদের দাবি এই ভ্যাকসিন ৯১.৪ শতাংশ কার্যকরী।
আমেদাবাদের কোম্পানি জাইডাস ক্যাডিলার দ্বিতীয় পর্বের ট্রায়াল শেষ করেছে৷ ডিসেম্বরেই এই পর্বের ট্রায়াল শেষ হয়েছে ৷ ডিসিজিআইয়ের কাছ থেকে তৃতীয় পর্বের ট্রায়ালের অনুমোদন পেয়ে ৬০ টি জায়গায় ৩০ হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষা চলছে৷ এই কোম্পানির দাবি এই ভ্যাকসিন মজুদ, পরিবহণ করা এবং ইনজেকট করা অনেক সহজ৷ এই ইনজেকশনটি পেশিতে নয় চামড়াতে দিলেই হয় অর্থাৎ এটি ইন্ট্রা ডার্মাল ইঞ্জেকশন ৷ এর জন্য এটি কম বেদনাদায়ক৷
ভারতে পরবর্তী পর্যায়ে যে ভ্যাকসিনগুলি আসতে পারে সেগুলি হল জাইডাস ক্যাডিলা, রাশিয়ার স্পুটনিক ভি, বায়োলজিকাল ই এবং জেনোভ্যাল৷ এই সবগুলি ভ্যাকসিনেরই অ্যাডভান্স পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে৷