অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন, দু’রকম ভ্যাকসিনই সম্প্রতি অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ওই দু’টি ভ্যাকসিন বিভিন্ন রাজ্যে পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। গতকালই বাংলায় এসে পৌঁছেছে ভ্যাকসিন। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের মুখপাত্র মনীশ তেওয়ারি কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
ভারত বায়োটেকের এই ভ্যাকসিন কি মানুষের দেহে ব্যবহারের উপযুক্ত? দেশ জুড়ে যখন কোভিডের ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে, তখন এমনই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলল প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। শ্রী আনন্দপুর সাহিবের সাংসদ মনীশ তেওয়ারি বুধবার টুইট করে বলেন, “সরকার এখন বলছে, মানুষ কোন ভ্যাকসিন নেবেন তা নিজে পছন্দ করতে পারবেন না। কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা শেষ হয়নি। তাই সেই ভ্যাকসিন কতদূর কার্যকরী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।”
কংগ্রেস থেকে এর আগেও অভিযোগ তোলা হয়েছে, ওই ভ্যাকসিনের এখনও তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ হয়নি। তাই একসময় সরকার বলেছিল, জরুরি ভিত্তিতে, বিকল্প হিসাবে কোভ্যাক্সিন ব্যবহার করা যেতে পারে। পরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ বলেন, ভারতীয়রা এখনই দু’টি ভ্যাকসিনের মধ্যে ইচ্ছামতো কোনও একটিকে নিতে পারবেন না। মনীশ তেওয়ারি টুইটারে লিখেছেন, “ভ্যাকসিন দেওয়ার নাম করে তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা চালানো উচিত নয়। ভারতীয়রা গিনিপিগ নয়।”
উল্লেখ্য, প্রথমে আজ থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও পরে তারিখ পিছিয়ে আগামী শনিবার অর্থাৎ ১৬ জানুয়ারি থেকে টিকাকরণ শুরু হয়ে যাবে দেশজুড়ে। মঙ্গলবারই দেশের ১২ থেকে ১৩টি শহরে কোভিশিল্ড টিকা পাঠিয়ে দিয়েছে পুণের সেরাম ইনস্টিটিউট। কয়েকটি ধাপে প্রতিষেধক পাঠানোর কাজ চলবে। আজ থেকে আসরে নেমেছে ভারত বায়োটেকও। ভোর থেকেই ভ্যাকসিন ভ্যান বের হতে শুরু করেছে হায়দরাবাদের ফার্ম থেকে। প্রথম দফায় কোভ্যাক্সিন দিল্লীতে পৌঁছে দিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান।