কৃষি আইন নিয়ে মতবিরোধের জেরে আগেই জোট ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছে শিরোমণি অকালি দল। এমনকি কৃষকদের দাবি পূরণ না হলে, বিজেপি’র সঙ্গে সম্পর্ক ছেদের হুঁশিয়ারি আগেই দিয়েছিল রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি। এবার কেন্দ্রের অনমনীয় মনোভাবে হতাশ হয়ে শেষ অবধি এনডিএ ছেড়ে বেরিয়েই গেল রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি। কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের প্রতিবাদেই যে রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি এনডিএ ছাড়ল, তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে বিজেপির এই শরিক। রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির প্রধান হনুমান বেনিওয়াল গতকাল নিজেই বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেন।
একই দিনে লোকসভার প্রাক্তন সাংসদ হরিন্দর সিং খালসাও ইস্তফা দিয়ে বিজেপি’র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। কারণ হিসেবে জানান, আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা যে ‘অসংবেদনশীল’ আচরণ করছেন, তা মন থেকে তিনি মেনে নিতে পারছেন না। তাই বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতেই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। হরিন্দর সিং খালসা বলেন, “কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে পরিবার-বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে কৃষকরা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাস্তায় মারাত্মক ঠান্ডায় খোলা আকাশের নীচে রাত কাটাচ্ছেন। কেন্দ্র তবু নির্বিকার রয়েছে। কৃষকদের প্রতি কেন্দ্রের এই অসংবেদশীলতা আমাকে ব্যথিত করেছে। তাই বিজেপি থেকে ইস্তফা দিলাম।”
এনডিএ’র শরিকরা একে একে জোট ভেঙে বেরিয়ে যাওয়ায়, এদিন বিজেপিকে কটাক্ষ করে শরদ পাওয়ারের এনসিপি। কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে এনসিপি জানায়, “এনডিএ খুব শিগগিরি ধুলো খাবে।” বিজেপির শরিক রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি এনডিএ ছাড়ার পরেই এই মন্তব্য করেন এনসিপির মুখপাত্র মহেশ তোপে। বিজেপির পুরনো সহযোগী, এনডিএ’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আকালি দল কৃষি আইন ইস্যুতে কয়েক মাস আগেই বেরিয়ে গিয়েছে। বিজেপিকে কটাক্ষ করে মহেশ তপসে বলেন, “কেন্দ্রের কৃষি আইনগুলি স্বভাবে কঠোর। একে একে এনডিএর শরিকরা ছেড়ে যাবে।”