মহারাষ্ট্রে তাঁদের শরিক দল শিবসেনা সুযোগ পেলেই তাঁকে কটাক্ষ করছে। এমনকি দলের অন্দরেও তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাঁদের দাবি, রাহুল গান্ধীর জন্যই নাকি কৃষকদের আন্দোলনে গতি আনতে পারছেন না দেশের বিরোধীরা। কিন্তু কোনও কটাক্ষ, কোনও সমালোচনাতেই দমছেন না প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। নিজের মতো করে কৃষি আইনের প্রতিবাদ করে চলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে অসম লড়াইয়ে প্রতিনিয়ত দেশের অন্নদাতাদের উৎসাহিতও করছেন রাহুল।
গত বৃহস্পতিবার রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বেই কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দু’কোটি মানুষের সই সম্বলিত স্মারক রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দিয়ে এসেছে কংগ্রেস। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বেরিয়ে মোদী সরকারের উদ্দেশ্যে প্রবল কটাক্ষও করতে শোনা গিয়েছে কংগ্রেস নেতাকে। যার পাল্টা রাহুলকে তীব্র আক্রমণ করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। এবার দিল্লী সীমান্তে অবস্থানরত কৃষকদের উৎসাহ দিতে হিন্দী কবি দ্বারকাপ্রসাদ মাহেশ্বরীর একটি কবিতা টুইট করলেন রাহুল। যার মর্মার্থ দাঁড়ায়, “হে বীর, তুমি এগিয়ে চলো। ধৈর্য ধরে এগিয়ে চলো। জলের তোড় আসুক কিংবা জল কামান, ভয়হীনভাবে এগিয়ে চলো। হ্যাঁ অন্নদাতা, আরও দৃঢ় হও, এগিয়ে যাও।”
আসলে কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে রাজনীতিকে সরাসরি মিশিয়ে ফেলতে চাইছেন না রাহুল গান্ধী। এই স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনে যাতে রাজনীতির রং না লাগে তা নিশ্চিত করতেই বদ্ধপরিকর চাইছেন তিনি। কারণ, আন্দোলনে রাজনীতি ঢুকে গেলে কৃষকদের লড়াই গৌণ মনে হবে। তাই প্রাক্তন কংগ্রেস কংগ্রেস সভাপতি চাইছেন, বাইরে থেকে যেভাবেই হোক, এই কৃষকদের পাশে থাকার বার্তাটা দিয়ে রাখতে। আর সেই কারণেই টুইটে হিন্দী কবিতা পোস্ট করে কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা রাহুলের।