নতুন বছরের ২০শে জানুয়ারী আমেরিকার ৪৬তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন জো বাইডেন। তার আগেই ফের বিদায়ী রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তিনি। প্রকাশ্যে টিকা নিলেন সদ্য নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার লাইভ সম্প্রচারও করালেন। তার মাধ্যমেই আশ্বাস দিলেন, ‘ভয়ের কিছু নেই।’ আরও বেশি করে মানুষকে আহ্বান জানালেন টিকাকরণে। কারণ বহু মার্কিনি এখনও টিকা নেওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে রয়েছেন।
সোমবার নেওয়ার্কের ক্রিশ্চিয়ানা হাসপাতালে ফাইজারের টিকা নিলেন তিনি। হবু ফার্স্ট লেডি জিল গত সপ্তাহেই নিয়েছেন টিকা।
বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেনস ও তাঁর স্ত্রীও নিয়েছেন টিকা। তবে ট্রাম্প এই নিয়ে কিছুই বলেননি। যদিও আমেরিকাবাসীর টিকা নিয়ে অনীহা দূর করার জন্য একটি বিবৃতি দিয়েছেন। সোমবার টিকা নেওয়ার পরেই বাইডেন জানিয়ে দিলেন, মাস্ক পরা বন্ধ করতে চলবে না। আসন্ন উৎসবের মরসুমেও সাবধান থাকতে হবে দেশবাসীকে। সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে। টিকার জন্য প্রশংসা করলেন বিজ্ঞানীদেরও।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহ থেকেই আমেরিকায় টিকাকরণ শুরু হয়েছে। কিন্তু এই নিয়ে কোনও শব্দ খরচ করেননি বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। টিকা নিয়ে প্রচারে অংশও নেননি। উল্টে অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে বিপাকে ফেলার জন্যই ষড়যন্ত্র করে ভোটের পরে টিকার ঘোষণা করা হয়েছে। স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতার হয়েই সওয়াল করে গেছেন তিনি। এমনকী এই টিকাকরণ প্রকল্পে অংশ নিতে দেখা যায়নি ট্রাম্প-পত্নী মেলানিয়াকেও।
কোভিড অতিমারী নিয়েও একই মনোভাব ছিল ট্রাম্পের। মাস্ক পরার বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। আর এসবই নভেম্বরের ভোটে ট্রাম্পকে জোর ধাক্কা দিয়েছে। তাঁকে পিছনে ফেলে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হন জো বাইডেন। এবার টিকাকরণ নিয়েও ট্রাম্পকে জোর ধাক্কা দিলেন ডেমোক্র্যাট নেতা।