বাংলায় মমতা সরকারকে যেভাবে কোণঠাসা করা হচ্ছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন অন্য বিরোধীরা। দিল্লীর কেজরিওয়াল, তামিলনাড়ুর স্ট্যালিন, ছত্তিশগড়ের ভুপেশ বাঘেলরা ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। মমতার পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহাও। এবার রাজনৈতিকভাবে মমতার পাশে দাঁড়ালেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। সেই সঙ্গে করোনা বিধি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে তোপও দাগলেন।
প্রশান্ত ভূষণ, যিনি জাতীয় রাজনীতিকে এক কথায় পরিচিত প্রতিবাদী হিসেবে, কংগ্রেস আমলে বহু দুর্নীতির বিরোধিতা করেছেন। বিজেপির আমলেও বিভিন্ন সময়ে সরকারের বিভিন্ন নীতির বিরোধিতা করে আসছেন। গতকাল মেদিনীপুরে অমিত শাহর সভার ছবি দেখার পর টুইট করে বললেন, ‘মোদী-শাহর এই যুগলবন্দী দেশ থেকে গণতন্ত্রকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে।’ প্রখ্যাত আইনজীবীর দাবি, ‘সমস্ত রাজনৈতিক নীতি আদর্শ ভুলে সব দলের উচ্ছিষ্টদের একত্রিত করেছে বিজেপি। অমিত শাহ জনসভা করছেন মাস্ক না পরে, শারীরিক দূরত্ববিধি শিকেয় তুলে। অথচ, এরাই সংসদের অধিবেশন বাতিল করে দেয় করোনার অজুহাতে। আসলে মোদী-শাহ গণতন্ত্রকেই শিকেয় তুলে দিয়েছে।’ বস্তুত গতকাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভায় শারীরিক দূরত্ববিধি যে মানা হয়নি, সেটা বলাই বাহুল্য। শুধু তাই নয়, সভায় যারা ছিলেন তাঁদের অনেকের মুখেই ছিল না মাস্ক। খোদ অমিত শাহকেও দেখা গিয়েছে বহুক্ষণ মাস্ক না পরে থাকতে। কৌশলী আইনজীবী সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেই মমতার পাশে থাকার বার্তা দিলেন।
এদিকে, গতকাল কৃষক পরিবারে অমিত শাহর মধ্যাহ্নভোজন নিয়ে টুইটারে অভিনব ভঙ্গিতে বিজেপিকে বিঁধেছে তৃণমূল। শাহকে বিঁধতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরই একটি পুরনো টুইটকে হাতিয়ার করছে তৃণমূল। ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে করা সেই টুইটে মোদী বিঁধেছিলেন তৎকালীন কংগ্রেস নেতাদের। তাঁর দাবি ছিল, ‘কংগ্রেস নেতারা দারিদ্র ভ্রমণে পারদর্শী। ক্যামেরা নিয়ে ওঁরা গ্রামে গ্রামে যায়, গরিবদের সঙ্গে খাবার খায় আর ছবি তোলে।’ মোদীর এই টুইটটির সঙ্গে শুধু অমিত শাহর গতকালের মধ্যাহ্নভোজনের ছবিটি জুড়ে পোস্ট করেছে তৃণমূল। যে টুইট ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে।