রাজ্যের নির্বাচনী যুদ্ধ নিয়ে এই প্রথম প্রকাশ্যে মন্তব্য করলেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর৷ রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে তাঁর দাবি, রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি দুই অঙ্কের আসন সংখ্যায় পৌঁছতে পারবে না৷ শুধু তাই নয়, আত্মবিশ্বাসী পিকে-র আরও দাবি, তাঁর কথা না মিললে তিনি টুইট করাই ছেড়ে দেবেন৷
দু’দিনের সফর শেষ করে রবিবারই দিল্লীতে ফিরে গিয়েছেন অমিত শাহ৷ গত শনিবার শুভেন্দু অধিকারী যোগ দিয়েছেন বিজেপি-তে৷ তৃণমূলে ফাটল ধরিয়ে অমিত শাহ হুঙ্কার ছাড়েন, রাজ্যে ২০০-র বেশি আসন পাবে বিজেপি৷ যদিও সেই দাবি নস্যাৎ করে দিয়ে তৃণমূল নিযুক্ত ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর এ দিন টুইটারে লিখেছেন, ‘বিজেপি-কে সমর্থনকারী একশ্রেণির সংবাদমাধ্যম হাইপ তৈরি করলেও, বাস্তবে বাংলায় বিজেপি দুই অঙ্কের আসনে পৌঁছতেও হিমশিম খাবে!’ একই সঙ্গে প্রশান্ত কিশোর উল্লেখ করেছেন, ‘আমার এই টুইটটি সেভ করে রাখুন৷ বিজেপি এর থেকে ভাল ফল করলে আমি টুইট করাই ছেডে় দেব৷’
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, গত ভোটে তৃণমূল মাত্র ২২টি লোকসভা আসন জেতার পর রাজনৈতিক কৌশলে অনেক বদল এসেছে প্রশান্ত কিশোরের হাত ধরে। ‘দিদিকে বলো’ থেকে শুরু করে বঙ্গ ধ্বনি, সবেতেই আছে পিকে-র ছোঁয়া। তৃণমূলকে যে তৃণমূল স্তরে গিয়েই রাজনীতিটা করতে হবে, সেই উপলব্ধিটা দলের মধ্যে আনতে পেরেছেন প্রশান্ত কিশোর। দুয়ারে দুয়ারে সরকারের অভূতপূর্ব সাফল্য, বিশেষত স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প যেভাবে মানুষকে আকৃষ্ট করেছে, তাতে তৃণমূল নেতৃত্ব নিশ্চিত, প্রতিষ্ঠান বিরোধী ভোট ফের তৃণমূলের দিকে ঘুরবে। সেই আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলনই পিকে-র টুইট বলে অনেকে মনে করছেন।