মুর্শিদাবাদ জেলার বছর পাঁচেক ধরে তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপিতে যোগদান করার সময় অনেকেই ভেবেছিলেন মুর্শিদাবাদ থেকেও অনেকে তাঁর সাথে বিজেপিতে যোগদান করবে। কিন্তু মুর্শিদাবাদ থেকে কেউই শুভেন্দু অধিকারীর পথে হাঁটেনি। উপরন্তু শুভেন্দুর দলত্যাগের ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করতে জঙ্গীপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের উদ্যোগে রঘুনাথগঞ্জ ম্যাকেঞ্জি পার্কে যে জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল তাতে উপচে পড়ল মানুষের ভিড়।
ম্যাকেঞ্জি পার্কের জনসমাগম দেখে তৃণমূলের জেলা সভাপতি আবু তাহের খান বলেন, ‘তৃণমূল দলের সঙ্গে বেইমানি করেছে শুভেন্দু অধিকারী। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করে জবাব দেবো।’ বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষও সভায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে উন্নয়ন করেছে সেই উন্নয়নে মানুষ তাঁকে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত করবে।’ মন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, ‘এই মহকুমায় সবকটি আসনই আমরা যাতে জয়লাভ করতে পারি সেই কারণে আপনাদের কাছে আশীর্বাদ চাইছি। দিদিকে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আমরা চাই।’
এদিকে শুভেন্দু অধিকারী জেলার পর্যবেক্ষক থাকার সময় মন্ত্রী জাকির হোসেনকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল নেতা নবাব হোসেন। তিনি বলেন, ওই পর্যবেক্ষকের নির্দেশেই বিভিন্নভাবে মন্ত্রীকে অপদস্ত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। শুভেন্দু দল থেকে চলে গেলেও জঙ্গীপুরের মানুষ যে মন্ত্রীর সঙ্গে আছে আজকের জনসভা তারই প্রমাণ। কিছু লোভী মানুষ দল ত্যাগ করলে কিচ্ছু যায় আসেনা। বিধানসভা ভোটের এর আগে জঙ্গীপুর মহকুমা তৃণমূল কেবলমাত্র ভোটে জিতে জঙ্গীপুর, সাগরদিঘী ও সামশেরগঞ্জ আসনে জয়লাভ করেছিল।