ভাঙন রাজনীতিতে আস্থা রাখছে বিজেপি। শুভেন্দু তৃণমূল ছেড়েছেন, তাঁর হাত ধরেই বিজেপিতে ভিড়েছেন তৃণমূলের চেনা মুখ। কিন্তু তলে তলে যে বিজেপিতেও ভাঙন ধরাচ্ছে খোদ তৃণমূলই, সে খবর কি রাজ্যের শীর্ষনেতাদের কাছে পৌঁছচ্ছে?
হ্যাঁ, শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপি যোগদানের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ বিধানসভায় শক্তিপ্রদর্শন করল তৃণমূল। এদিন গোটা রাজ্যের চোখ যখন শাহি সভায়, তখনই রাজগঞ্জের ২০০ টি বিজেপি পরিবারের বহু বিজেপি কর্মী হাতে তুলে নিলেন তৃণমূলের পতাকা। শুধু তাই নয়, বড় কর্মীসম্মেলন পাল্টা বার্তা দিল গেরুয়া শিবিরকেও, অক্সিজেন পেল ঘাসফুল শিবির।
এই যোগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস এসসি, এসটি, ওবিসি সেলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণ দাস। রাজগঞ্জ বিধানসভার অন্তর্গত বিন্নাগুড়ি অঞ্চলের আদর্শপল্লিতে এই সভায় উপস্থিত প্রাক্তন বিজেপি সমর্থকদের হাতে দলীয় পতাকা হাতে তুলে দিয়ে তাঁদের দলে স্বাগত জানান তিনিই।
তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাস বলেন, ‘বিজেপি ভুল বুঝিয়ে মানুষকে নিয়ে যাচ্ছে। বিজেপি রাজবংশীদেরও ভুল বোঝাচ্ছে। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের রাজবংশী ভাষা, কামতাপুরী ভাষা, নারায়ণী ব্যাটেলিয়ান দিয়েছে। এদিকে বিজেপি শুধু ভোট নিয়েছে।’ শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন তিনি। বললেন, ‘এক শুভেন্দু যাবে, হাজার শুভেন্দু আসবে। এরা চলে গেলে দলের হাতই শক্ত হবে।’
প্রসঙ্গত শুধু উত্তরই নয়, ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে শুভেন্দুর চেনা গড় মুর্শিদাবাদের তৃণমূলও। রঘুনাথগঞ্জ ম্যাকেঞ্জি পার্কে জঙ্গিপুরের বিধায়ক ও রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের উদ্যোগে সেখানেও এক জনসভার আয়োজন করা হয়। রঘুনাথগঞ্জের ম্যাকেঞ্জি পার্কে লোকের জনসমাগম দেখে তৃণমূলের জেলা সভাপতি আবু তাহের খান বলেন, ‘তৃণমূল দলের সঙ্গে বেইমানি করেছে শুভেন্দু অধিকারী। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করে জবাব দেবো।’