আবার মূর্তি ভাঙচুরের জঘন্য ঘটনা ঘটল বাংলাদেশে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর এবার কিংবদন্তি স্বাধীনতা সংগ্রামী বাঘাযতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুর করল কিছু দুর্বৃত্তেরা।
বৃহস্পতিবার রাতের এই ঘটনায় বাংলাদেশে নিন্দার ঝড় উঠেছে। কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার কয়া গ্রামে কয়া মহাবিদ্যালয়ের উঠোনে প্রতিষ্ঠিত ছিল বিপ্লবী বাঘাযতীনের ভাস্কর্য। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা সেই মূর্তি ভেঙে দিয়েছে। ভাস্কর্যটির ডান গালে ও নাকের ওপর একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কী উদ্দেশ্যে এমন নিন্দনীয় ঘটনা ঘটাল দুষ্কৃতীরা, তা এখনও পরিষ্কার নয় প্রশাসনের কাছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৬ই ডিসেম্বর কয়া গ্রামের মহাবিদ্যালয়র উঠোনে বাঘাযতীনের মূর্তিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধার স্মৃতি অটুট রাখতেই এই মূর্তিটির প্রতিষ্ঠা। তার প্রায় চার বছর পর ঘটল এই ঘৃণ্য ঘটনা। মুজিবর রহমানের পর বাঘাযতীনের মূর্তিতেও নেমে এল দুর্বৃত্তদের কালো হাত।
বৃহস্পতিবার সন্ধে পর্যন্ত সেই ভাস্কর্য অক্ষত ছিল বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। তাঁদের জানান, রাতের অন্ধকারে কোনও এক সময় সেই মূর্তি নষ্ট করেছে দুষ্কৃতীরা। বাংলাদেশের কয়া গ্রামেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন বিপ্লবী বাঘাযতীন। কথিত আছে, খালি হাতে বাঘ মেরেছিলেন বলে তাঁর নাম হয়েছিল বাঘাযতীন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে অন্যতম যোদ্ধা ছিলেন এই বীর বিপ্লবী। কিন্তু তিনিও নোংরামি থেকে পার পেলেন না। সম্মান তো দূরের কথা, এত বছর পর প্রতিষ্ঠিত তাঁর মূর্তিটিও আজ দুর্বৃত্তদের কবলে পড়ল। বাঘাযতীনের জন্মস্থানেই এমন ঘটনার নিন্দায় সরব এলাকাবাসী।