সম্প্রতি সল্টলেকের যুবক খুনের রহস্যময় ঘটনায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। তন্ত্রসাধনার বশে কি ছেলেকে হত্যা করল মা ? কুসংস্কারের এমন ভয়ানক প্রকোপ সল্টলেকের মত অভিজাত এলাকায় কবে থেকে চলছে ? উঠে আসছে আরো নানান প্রশ্ন। এ বিষয়ে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞেরা দাবি করেছেন, সল্টলেকের জে ব্লকের ওই বাড়ি থেকে মিলেছে তন্ত্র আচারের খোঁজ। বাড়ির ভিতরে পাওয়া গিয়েছে বিভিন্ন নকশা। সেগুলি তন্ত্র সাধনার দিকেই ইঙ্গিত করছে। বাড়ির বাইরে চারদিকে একাধিক স্বস্তিক চিহ্ন, ও ত্রিশূল পাওয়া গেছে।
গত বৃহস্পতিবার সল্টলেকের এ জে ব্লকের বাড়ি থেকে কঙ্কাল উদ্ধার হয়। এরপরই শোরগোল ছড়িয়ে পড়ে। বাড়ির মালিক অনিল মহেন্সারিয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁরই স্ত্রী গীতা মহেন্সারিয়া ও ছোট ছেলে বিদুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর অভিযোগ ছিল, বড় ছেলে অর্জুনকে খুন করে গুম করা হয়েছে। গন্ডগোলের জেরে দুই ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান তাঁর স্ত্রী। কিন্তু কিছুতেই বড় ছেলের খোঁজ পাচ্ছেন না তিনি।
এদিন ফরেনসিক সূত্র জানায়, বাড়ির হলঘরের চেয়ারে বসিয়ে পোড়ানো হয় দেহ। বাড়ির পিছন থেকে পাওয়া গিয়েছে পোড়া কাঠের গুঁড়ো। গন্ধ আটকাতে কর্পূর, ঘি, ধুনো জাতীয় জিনিস পোড়ানো হয় বলেও অনুমান। যদিও পুলিশের অন্য অংশের দাবি, তন্ত্র সাধনাকে সামনে রেখে পিছনে আরও বড় কোনও অপরাধ আড়ালেরও ছক চলত সেখানে।
সল্টলেকের মত অভিজাত এলাকায় কীভাবে তন্ত্রসাধনা ? ঘটনায় ইতিমধ্যেই নানান সন্দেহ উঠে এসেছে। প্রথমত, তন্ত্র সাধনার জেরে ছেলেকে খুন করা হয়ে থাকলে তান্ত্রিক কে ছিলেন ? বিশেষ কিছু কার্যসিদ্ধির জন্য তন্ত্র সাধনা করা হয়ে থাকলে মূল উদ্দেশ্য কী ? বাসিন্দা মহেন্সারিয়া দম্পতির দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ঘটনার কথা জানত মেয়ে ? মা’ই কি খুন করেছেন ছেলেকে ? সমস্ত বিষয় মাথায় রেখেই ঘটনার চুলচেরা তদন্তে নেমেছে পুলিশ।