২০১১ সালে ক্ষমতায় এসেই রাজ্যে উন্নয়নের বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিগত ৯ বছর ধরে যার সুবিধা ভোগ করে আসছেন রাজ্যবাসী৷ একুশের ভোটের আগে তাঁর চালু করা ১১টি সামাজিক প্রকল্প থেকে একটি পরিবারও যাতে এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত না থাকে, তা নিশ্চিত করতে রাজ্য সরকার টানা দু’মাস ধরে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচী নিয়ে হাজির হয়েছে।
১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেন ইতিমধ্যেই হিট। গতকাল, মঙ্গলবার, থেকেই দ্বিতীয় দফায় শুরু হয়ে গিয়েছে, ‘দুয়ারে সরকার’। রাজ্যের প্রতিটি জেলায়, প্রতিটি ব্লকে অনুষ্ঠিত হয়ে চলেছে রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প। জানা গিয়েছে ১১ দিনে রাজ্যের ৭২২৪ ক্যাম্প থেকে প্রায় ৬৪ লক্ষ ২৭ হাজার ৪৯১ জন আবেদন করেছেন। এই প্রকল্পে মোট ১০টি পরিষেবাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। যেগুলির সুযোগ-সুবিধা দিতে জনগণের কাছে পৌঁছে যাবে সরকার।
‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের জন্যে যে ১০টি প্রকল্পকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তা হল, খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, জাতিগত শংসাপত্র দান, শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী, রুপশ্রী, ঐক্যশ্রী, জয় জোহর, তপশিলি বন্ধু, একশো দিনের কাজ। এই সব কটি প্রকল্প একেবারে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সাথে যুক্ত রয়েছে। ফলে এই সব প্রকল্পগুলি সম্পর্কে অভাব-অভিযোগ শুনতে গ্রামীণ ও পুরসভা এলাকায় শিবির করবেন সরকারি বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা। আর জেলায় জেলায় সব প্রকল্পের প্রধান দায়িত্বে থাকবেন জেলাশাসক। মোট ৪ ভাগে হবে এই প্রকল্পের কাজ। ১লা ডিসেম্বর থেকে ৩০ জানুয়ারি মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন করা হবে। প্রথম ভাগের কাজ ১ থেকে ১১ ডিসেম্বর। দ্বিতীয় ভাগের কাজ হবে ১৫-২৪ ডিসেম্বর। তৃতীয় ভাগের কাজ হবে নতুন বছরের ২রা জানুয়ারি থেকে ১২ জানুয়ারি অবধি। চতুর্থ ভাগের কাজ হবে ১৮ থেকে ২৮ জানুয়ারি অবধি। প্রতিটি ওয়ার্ডে বসবে ‘দুয়ারে সরকার’ এর ক্যাম্প। মিলবে গ্রামীণ এলাকাতেও। ক্যাম্প বসবে স্কুল, কলেজ, কমিউনিটি হল, গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে।