কোচবিহারের কর্মিসভা থেকে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, সুব্রত বক্সি এবং অনুব্রত মণ্ডলকে গেরুয়া শিবিরের তরফে ফোন করে বৈঠকে বসার কথা বলা হয়। তবে তাঁরা ওই বৈঠকে বসতে রাজি হন নি বলেও জানান তিনি।
কোচবিহারের রাসবাড়ি মাঠের কর্মিসভায় সাংসদ নিশীথ প্রামাণিককের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারে আমরা হেরেছি। কিন্তু যারা জিতেছে তারা গুন্ডামি করছে। আমরা যাকে তাড়িয়ে দিয়েছিলাম। তাকেই বিজেপি নিল।’ বিজেপিকে কড়া ভাষায় বিঁধে তাঁর বার্তা, ‘অতিমারীর সময়ে ভিনরাজ্য থেকে ফেরা পরিযায়ীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। দিল্লীর বিজেপি সরকারের মানবিকতা হল না ট্রেনের ভাড়া না নেওয়ার। ট্রেনের ভাড়া, খাওয়ার খরচ আমরা দিয়েছি। আর ওদের কাজ নেই কর্ম নেই। মিথ্যের ফুলঝুড়ি ছড়াচ্ছে।’
কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধেও এদিন আরও একবার তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কটাক্ষ, ‘লঙ্কায় গিয়ে তোমরা রাবণ হয়ে গিয়েছে। আলু, পিঁয়াজ পাবেন না। চাল কেড়ে নিয়ে চলে যাবে। ডাকাত এসে গিয়েছে। বর্গী এসেছে।’ আরও একবার বহিরাগত ইস্যুতেও তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। আরএসএসকে বহিরাগত বলে আক্রমণ করেন তিনি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপিকে খোঁচার পাশাপাশি রাজ্যের উন্নয়নের খতিয়ানও তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াইয়ের মাধ্যমে বাংলা রক্ষার জন্য রাজ্যবাসী এগিয়ে আসার কথাও বলেন তিনি। বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই শাসক-বিরোধী আক্রমণের ঝাঁজ যে বাড়ছে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।