চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে পঞ্চায়েত ও পুর নির্বাচনে ‘দাগ’ কাটতে ঘোষিত নীতি থেকে সরে এসে ধর্মান্তরকরণের অভিযোগে যাদের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন সেই খ্রিস্টানদেরও প্রার্থী করেছিলেন অমিত শাহ-জেপি নাড্ডারা। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হল না। ‘ঈশ্বরের দেশ’ হিসেবে পরিচিত কেরালায় মুখ থুবড়ে পড়ল বিজেপি। সিংহভাগ পঞ্চায়েত ও পুরসভার আসনে ভূমিশয্যা নিতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীদের।
বুধবার সকাল থেকেই সদ্য সমাপ্ত রাজ্যের পঞ্চায়েত ও পুরসভা নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হয়েছে। বেলা বারোটা পর্যন্ত গণনার প্রাথমিক প্রবণতায় দেখা যাচ্ছে, রাজ্যে বর্তমানে কুর্সিতে থাকা সিপিএম নেতৃত্বাধীন বাম গণতান্ত্রিক মোর্চা (এলডিএফ) প্রতিপক্ষ দুই শিবির ইউডিএফ এবং এনডিএ’র তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে। ৯৪১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে এলডিএফ এগিয়ে ৪৪২টিতে। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ এগিয়ে ৩৪৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতে। আর এনডিএ এগিয়ে মাত্র ২৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতে। অন্যদের তুলনায় এগিয়ে থাকলেও গতবারের তুলনায় বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত যে এলডিএফের হাতছাড়া হতে চলেছে, তার নিশ্চিত ইঙ্গিত মিলেছে। ২০১৫ সালে ৯৪১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে সিপিএম নেতৃত্বাধীন এলডিএফ জোট জয়ী হয়েছিল ৫৫১টিতে।
শুধু গ্রাম পঞ্চায়েত নয় ব্লক পঞ্চায়েত, পুরসভা ও নগর নিগমেও কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ জোটের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে এলডিএফ। যেখানে ১০০টি ব্লক পঞ্চায়েতে এগিয়ে বাম প্রার্থীরা, সেখানে ইউডিএফ এগিয়ে ৪৯টিতে। ১২টি জেলা পরিষদে এগিয়ে এলডিএফ, পক্ষান্তরে মাত্র ২টিতে এগিয়ে ইউডিএফ। তবে শহর এলাকায় কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে রাজ্যের শাসকদল। ৪০টি পুরসভায় যেখানে এগিয়ে ইউডিএফ সেখানে এলডিএফ এগিয়ে ৩৭টিতে।