আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে কদিন আগেই। হয়েছে পালাবদল। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন জো বাইডেন। ২০শে জানুয়ারী ৪৬তম মার্কিন রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেবেন বাইডেন। তবে ফলাফল নিয়ে এখনও অসন্তোষ জারি রয়েছে ট্রাম্পের। প্রায়শই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তিনি। এনেছেন কারচুপির অভিযোগ। জানিয়েছেন ভোট বাতিলের আর্জিও।
এবার ফের হতাশ হতে হল ট্রাম্পকে। পেনসিলভানিয়া, মিশিগান, জর্জিয়া এবং উইসকনসিনের পর রিপাবলিকানদের এক সময়ের ‘দুর্গ’ টেক্সাসেও ভোট বাতিলের আর্জি জানিয়েছিলেন ট্রাম্পের কট্টর সমর্থক টেক্সাসের অ্যাটর্নি জেনারেল কেন প্যাক্সটন। শুক্রবার আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট তা খারিজ করে দিয়েছে। তার ফলে, গণভোট ও ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের থেকে অনেক পিছিয়ে পড়েও আদালতের ভরসায় ফের ক্ষমতাসীন হওয়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, তা রীতিমতো চুরমার হয়ে গেল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দাবিকে সমর্থন করে টেক্সাসের অ্যাটর্নি জেনারেল প্যাক্সটন তাঁর প্রদেশের লক্ষ লক্ষ ভোটারের দেওয়া ভোটকে অবৈধ ঘোষণা করে সেগুলি বাতিলের আর্জি জানিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টে। তাঁর অভিযোগ ছিল, অনলাইনে দেওয়া ভোটে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। কিন্তু খারিজ হয়ে গেল এই দাবি ও আবেদন। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ‘‘এই আর্জিকে গ্রাহ্য করার কোনও আইনি অধিকার আদালতের হাতে নেই। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটাভুটি সংবিধান লঙ্ঘন করেছে, এমন কোনো প্রমাণই আদালতের কাছে নেই।’’
বাতিলের আর্জি সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে যাওয়ার পর ফের সখেদে টুইট করেছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। টুইটে লিখেছেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট সত্যি সত্যিই আমাদের দমিয়ে দিয়েছে। কোনও বুদ্ধিদীপ্ত বিবেচনার হদিশ মিলল না। সাহসও দেখাতে পারল না।’’ সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ আখ্যা দিয়ে টেক্সাসের অ্যাটর্নি জেনারেল প্যাক্সটন বলেছেন, “লড়াই চালিয়ে যাব আমরা।”
তবে সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তের পরেও ট্রাম্পের ওই টুইট এবং টেক্সাসের অ্যাটর্নি জেনারেল প্যাক্সটনের মন্তব্যে যে রিপাবলিকানরা কিছুটা অস্বস্তি ও চাপের মধ্যে পড়ে গিয়েছেন তার আঁচ মিলেছে প্রেসিডেন্টের দলের নির্বাচনী আইনজীবী বেন গিন্সবার্গের মন্তব্যে। তাঁর মতে, এসবে আঘাত নেমে আসছে আমেরিকার গণতন্ত্রের উপর।