প্রায় ঘণ্টা তিনেকের ম্যারাথন বৈঠকেও মেলেনি রফা সূত্র। উল্টে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠককে অসম্পূর্ণ বলেই দাবি কৃষক সংগঠনগুলির। বৈঠক শেষে সারা ভারত কৃষক সভার সাধারণ সম্পাদক তথা সিপিআইএমের পলিটব্যুরো সদস্য হান্নান মোল্লা জানান, কেন্দ্র লিখিত আকারে তাদের মন্তব্য জানাবে।
বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তাতে কেন্দ্রের বক্তব্যের দিকেই তাকিয়ে আন্দোলনকারী কৃষকরা। আন্দোলনকারীদের স্পষ্ট বক্তব্য, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য এবং মণ্ডি ব্যবস্থা নিয়ে আইনি আশ্বাস দিতে হবে। এই বিষয়ে কোনও আশ্বাস মেলার পর প্রতিটি কৃষক সংগঠন আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। পাশাপাশি, এদিনের কেন্দ্রের সঙ্গে ফের একবার বৈঠক হতে পারে, যদিও সে সম্ভাবনা খুবই কম বলে জানিয়েছেন কৃষক নেতা।
কৃষি আইনের বিরোধিতায় ভারত বনধ পালন করে কৃষক সংগঠনগুলি। তার পরই সন্ধ্যাতে আলোচনার জন্য কৃষকদের ডাকেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে, রাকেশ টিকাইত নামে কৃষক সংগঠনের এক নেতা বলেন, ‘আমাকে ফোন করা হয়। অমিত শাহ সন্ধ্যা ৭টায় বৈঠক করবেন।’
এর আগে অমিত শাহর প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিল কৃষক সংগঠনগুলি। একাধিকবার কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কৃষকদের আলোচনা হলেও তা থেকে কোনও সমাধানসূত্র বের হয়নি। গত শুক্রবার সাত ঘণ্টা ধরে বৈঠক হলেও তা নিষ্ফলা থেকেছে। মঙ্গলবারও কার্যত ফলাফল শূন্যই থেকে গেল বৈঠক।
এর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আইন সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া হলেও তাতে রাজি হয়নি কৃষক সংগঠনগুলি। তাদের একটাই দাবি, আইন প্রত্যাহার করতে হবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর পরিষ্কার করে দিয়েছেন, তারা এই আইন প্রত্যাহার করবে না। এখন কেন্দ্রীয় সরকার লিখিত ভাবে কী জানায়, সে দিকেই তাকিয়ে সবাই।