অটোমেটিক দুয়ারে সরকার। এমনটা বললেও ভুল হবে না। বয়স্ক মানুষদের ক্যাম্পে নিয়ে আসার অটোর ব্যবস্থা করা হল। তারপর হাতে পৌঁছে গেল সরকারি ফর্ম। সৌজন্যে সাত নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর বাপি ঘোষ ও মন্ত্রী শশী পাঁজা।
দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে ক্যাম্প বাড়ানোর সিদ্ধান্ত সরকারের। নবান্ন সূত্রে খবর, ক্যাম্প বাড়িয়েও চাহিদা সামাল দেওয়া না গেলে প্রয়োজনে বাড়িতে বাড়িতে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের ফর্ম বিলি করা হবে। নবান্ন সূত্রে খবর, দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে মানুষের অংশগ্রহণ বাড়ছে। বিশেষ করে চাহিদা বাড়ছে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের। এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম বিলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আবার পরিষেবাগত চাহিদার শীর্ষে রয়েছে স্বাস্থ্যসাথী। এই প্রকল্পে এ দিন পর্যন্ত ৫,৯৭,৭৭৭টি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। প্রশাসনিক সূত্রের ব্যাখ্যা, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প সকলের জন্য উন্মুক্ত হয়ে যাওয়ায় এর চাহিদা সর্বাধিক। খাদ্যসাথী প্রকল্পের পরিষেবা চেয়ে আবেদনের সংখ্যা ৯৪,৬৪৩। একশো দিনের কাজ প্রকল্পে ৭৬ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। জাতি শংসাপত্রের আবেদন ৩৫,৪৪৮টি। বার্ধক্য ভাতার জন্য ৩১ হাজার, কৃষক বন্ধু প্রকল্পে ২৬ হাজার, বাংলা আবাস যোজনায় প্রায় ১১ হাজার আবেদন এসেছে। সামাজিক পেনশন, বৃত্তি, রেশন, জমি, কৃষিঋণ, বিধবা ভাতা সংক্রান্ত আবেদনপত্রের সংখ্যা ১০ হাজারের মধ্যে রয়েছে। কর্মসংস্থান সংক্রান্ত আবেদনপত্রের সংখ্যা ৯০৯। শৌচালয়, পুলিশ, রাস্তা নিয়েও বিভিন্ন ধরনের আবেদন আসছে।