ঐতিহাসিক একটি সিদ্ধান্ত নিল ফিফা। মহিলা ফুটবলারদের জন্য নজিরবিহীন এই নিয়ম অনুযায়ী, ফুটবলাররা ১৪ সপ্তাহের মাতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন। সন্তান জন্মের পরে কমপক্ষে ৮ সপ্তাহ বাধ্যতামূলক ছুটি দিতে হবে সংশ্লিষ্ট মহিলা ফুটবলারকে। যাঁরা ছুটি নেবেন, তাঁরা বেতনের (চুক্তি অনুযায়ী) দুই-তৃতীয়াংশ অর্থ পাবেন। তা ছাড়া গর্ভধারণের জন্য কোনও মহিলা ফুটবলার যাতে সমস্যায় না পড়েন, সে দিকেও যথাযথ খেয়াল রাখবে ফিফা কর্তৃপক্ষ। মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষ হলে সেই মহিলা ফুটবলারকে ফের ক্লাবে বহাল করতে হবে। সেই সঙ্গে ক্লাবে যাতে তাঁদের চিকিৎসার উপযুক্ত বন্দোবস্ত থাকে, সে দিকেও নজর রাখা হবে।
চলতি বছরের শেষেই হয়তো এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়তে পারে। নিয়মটি কার্যকরী হতে পারে নতুন বছরের শুরু থেকেই। তাছাড়াও ফিফার হাত ধরে আরও নতুন যে নিয়মগুলি আসতে চলেছে, তাতে খেলোয়াড় ছাড়া উপকৃত হবেন কোচেরাও। নিয়মগুলির ব্যাপারে সবিস্তারে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনো না জানালেও কোচদের জন্য যে সুযোগসুবিধা থাকছে, তার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন। বলেছেন, “ফুটবলের উন্নয়ন এবং প্লেয়ারদের অনুপ্রাণিত করার কাজটা করে থাকেন কোচরাই। ওঁদেরও চাকরির নিরাপত্তা থাকা দরকার। কোচদের সুরক্ষার জন্য ন্যূনতম একটা মান বজায় রাতে হবে আমাদেরই।”
মহিলা ফুটবলাদের জন্য লাগু নিয়মটি সম্বন্ধে বলতে গিয়ে ইনফ্যান্তিনো জানান, “ফুটবলাররাই আসল। তারা যাতে উন্নতি করতে পারে, সে দিকে নজর দেওয়াই আমাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য। মহিলা ফুটবলারদের কেরিয়ার আরও স্থিতিশীল করার জন্য আমাদেরই উদ্যোগী হতে হবে। ওদের মাতৃত্বকালীন ছুটির দরকার হলে চিন্তার কোনও ব্যাপারই নেই। ওরা ছুটি নিতেই পারবে। মহিলাদের ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে এ সব দিকে আমাদের নজর দিতেই হবে।” বলাই বাহুল্য, ফিফার এই সিদ্ধান্তটি একটি মানবিক দৃষ্টান্ত হয়ে রইল ক্রীড়া-ইতিহাস, ক্রীড়ামহল ও ক্রীড়াপ্রেমীদের মনে।