তৃতীয় ম্যাচেও মুখ থুবড়ে পড়ল ইস্টবেঙ্গল। নর্থ ইস্টের বিরুদ্ধে হেরে হারের হ্যাট্রিক করল ফাওলারের ছাত্ররা। এদিনও গত ২ ম্যাচের মত অসংখ্য ভুল, মিসপাস গোলের সুযোগ নষ্ট আর যার ফলশ্রুতি ২ গোলে এই লজ্জার হার। অতিরিক্ত সময়ে এই দ্বিতীয় গোলটি অপ্রত্যাশিতই ছিল। তবু সারা সময় জুড়ে যেভাবে নর্থইস্ট দাপট দেখাল তাতে শেষ মুহুর্তে এমন কিছু যে তারা ঘটাতেই পারে তা তো বলাই বাহুল্য। তবে আজকের ম্যাচ আবার দেখিয়ে দিল দল হিসাবে লাল হলুদ এখনও ঠিক কতটা অগোছালো। একে দুর্বল ডিফেন্সের ফাঁকফোকড় ঢাকতে হিমশিম অবস্থা, তার উপর আবার দোসর আত্মঘাতী গোল। সবমিলিয়ে চূড়ান্ত লজ্জায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। নর্থ ইস্টের জালে বল জড়িয়ে রাতারাতি লাল-হলুদ সমর্থকদের কাছে ‘ভিলেন’ হয়ে উঠলেন সুরচন্দ্র সিং।
পরপর তিন ম্যাচে হার ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাসে জোর ধাক্কা দেয় ঠিকই। কিন্তু স্প্যানিশ কোচকে নিঃসন্দেহে তার চেয়েও বেশি ভাবাচ্ছে একটিও গোল করতে না পারা। এটিকে মোহনবাগান, মুম্বই সিটি এফসি এবং নর্থ ইস্ট- তিনটি ম্যাচেই গোল হজম করতে হল দলকে। কিন্তু প্রতিবারই গোলমুখ খুলতে ব্যর্থ স্ট্রাইকাররা। এদিনও যেমন সহজ সুযোগ হাতছাড়া করলেন বলবন্ত সিং। দ্বিতীয়ার্ধে গোলের সুযোগ নষ্ট করেন পিলকিংটন।
একটা সময় দর্শকরা ধরেই নিয়েছেন সুরচন্দ্রর গোলেই হয়তো উপহার হিসেবেই তিনটি পয়েন্ট পকেটে পুরতে চলেছে নর্থ ইস্ট। ঠিক তখনই দুর্দান্ত একটি গোল করে নিজেদের জয় পক্ত করে ফেলেন চারা। ম্যাচের ইনজুরি টাইমে ভিপি সুহেরের দুরন্ত ক্রস থেকে গোল করতে কোনও ভুল করেননি ভারতীয় মিডিও। গোলের পরই ক্যামেরার ভেসে উঠল রবি ফাউলারের মুখটা। তীব্র ঝড় বয়ে যাওয়ার পর যেমন শান্ত হয়ে যায় পরিবেশ, তেমনটাই দেখাল তাঁকে। একেবারে হতাশায় নিমজ্জিত লাল-হলুদ কোচ। আর মাঠে উপুড় হয়ে শুয়ে কেঁদে ফেললেন সুরচন্দ্র। কেন প্রথমার্ধে পেনাল্টি দেওয়া হল না এসসি ইস্টবেঙ্গলকে, সেসব প্রশ্ন তখন অর্থহীন হয়ে পড়েছে।