রাজধানী দিল্লী কৃষক আন্দোলনে উত্তাল। বেশ কয়েক দফায় কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠক করলেও আন্দোলন থেকে সরে আসছেন না কৃষকরা। বরং সংসদ বিশেষ অধিবেশন ডেকে ফের কৃষি আইন নিয়ে আলোচনার পক্ষপাতী তাঁরা। এই পরিস্থিতির কর্নাটকের কৃষিমন্ত্রীর মুখে কৃষকদের নিয়ে মন্তব্যের নিন্দায় গোটা দেশ। বিজেপি শাসিত রাজ্যে কর্নাটকের কৃষিমন্ত্রী বি সি পাটিল বলেন, ‘যে কৃষকরা আত্মহত্যা করে, তারা কাপুরুষ।’
তাঁর কথায়, ‘একমাত্র কাপুরুষরাই নিজের স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারে। আমরা যখন জলে পড়ি, তখন সাঁতার কাটি এবং জয়লাভ করি।’ তিনি নিজের রাজ্যের উদাহরণ দিয়ে জানান, পোন্বামপেটে বাঁশের চাষ করে কৃষকরা লাভের মুখ দেখলেও অনেকেই আত্মহত্যা করেন।
কর্নাটকের কৃষিমন্ত্রী এমন কথা বললেও সে রাজ্যের কৃষক আত্মহত্যার পরিসংখ্যান রীতিমতো শিউড়ে ওঠার মতো। ২০১৯ সালে মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি, ৩৯০০ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছিলেন। তারপরই রয়েছে কর্নাটক। সেখানে আত্মহত্যা করেছে ১৯৯২ জন কৃষক, অন্ধ্র প্রদেশে ১০২৯ জন, মধ্যপ্রদেশে ৫৪১ জন, তেলেঙ্গানায় ৪৯৯ জন ও পঞ্জাবে ৩০২ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন।
রাজ্যের কৃষিমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যে আসরে নেমেছে কর্নাটক কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র ভিএস উগরাপ্পা বলেন, ‘কৃষকদের প্রতি বিজেপির মনোভাবের প্রতিফলনই হল এই কথা। কৃষিমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়া উচিৎ। কেউ নিজের জীবন ইচ্ছে করে নষ্ট করে না।’