বৈপ্লবিক কাজকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়ার পরে ক্ষুদিরাম দেশের কাজ ছাড়া আর অন্য কিছুই ভাবতে পারতেন না। দেশই হয়ে দাঁড়িয়েছিল তাঁর একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান। ভাইকে এসব থেকে দূরে সরিয়ে রাখার অনেক চেষ্টা করেছিলেন তাঁর মাতৃসম দিদি অপরূপা। এমনকি একবার চেষ্টা করেছিলেন বিয়ে দিয়ে ক্ষুদিরামকে সংসারে বেঁধে রাখতে। গ্রামের বাড়ি হাটগেছিয়াতে একবার এক পাত্রীকে দেখাতে ক্ষুদিরামকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর দিদি অপরূপা। কিন্তু কোন লাভ হয় নি। ক্ষুদিরাম তাঁর দিদিকে বলেছিলেন, আগে সাদা পঙ্গপালগুলোকে তাড়াই দেশ থেকে, তারপরে তোমার কথামত বিয়ে করব। ভাইয়ের কথার অর্থ বুঝতে না পেরে অপরূপা তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, সাদা পঙ্গপাল আবার কোথায়? ক্ষুদিরাম উত্তেজিত গলায় দিদিকে উত্তর দিয়েছিলেন, দেখছো না, ঐ সাদা পঙ্গপালগুলো কি রকম শুষে খাচ্ছে দেশটাকে! ঐ ফিরিঙ্গিগুলো তাঁদের মিলের কাপড়ে মাড় দেওয়ার জন্য দেশের ধান-চাল সব সমুদ্রপারে চালান করে দিচ্ছে জাহাজ বোঝাই করে। তাই তো খেতে পাচ্ছে না দেশের মানুষগুলো।
১৯০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, প্রতিবছরের ন্যায় কৃষিশিল্প প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল মেদিনীপুরের পুরাতন জেল প্রাঙ্গণে। সরকারি কতৃপক্ষ চেষ্টা করেছিলেন তরুণদের স্বদেশী আন্দোলন থেকে সরিয়ে নানা আমোদ-প্রমোদের দিকে আকৃষ্ট করতে। কলকাতা থেকে মিনার্ভা থিয়েটারের দলকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মেদিনীপুরে। প্রদর্শনীর সভাপতি ছিলেন মেদিনীপুরের তৎকালীন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ওয়েস্টন সাহেব। তিনি হুকুম জারি করেছিলেন যে, মেলায় বন্দেমাতরম ব্যাজ পরা ও ধ্বনি দেওয়া – দুটোই চলবে না। এই হুকুমের প্রতিবাদে মেলা বয়কটের জন্য জোর প্রচার শুরু হয়েছিল। একদল তরুণসহ ক্ষুদিরাম নিজে একদিন স্বয়ং ওয়েস্টন সাহেবের সামনে দিয়েই বন্দেমাতরম লেখা ব্যাজ পরে, বন্দেমাতরম ধ্বনি দিতে দিতে মেলা পরিক্রমণ করা শুরু করেছিলেন। ফল যা হবার ছিল, সেটাই হয়েছিল। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে নির্বিচারে বেত চালিয়েছিল পুলিশ। সেদিন তরুণদের গায়ে যত বেতের বাড়ি পড়েছিল, ততটাই উচ্চরবে দৃঢ় কণ্ঠে আওয়াজ উঠেছিল – বন্দেমাতরম।
তখন দেশজুড়ে স্বদেশী আন্দোলনের তুমুল হওয়া বইছিল। বিপ্লবীরা প্রকাশ্যে স্বদেশীকতা প্রচারের অভিযানে নেমেছিলেন। ক্ষুদিরামের উপরে কাঁথি, তমলুক ও উড়িষ্যার কিছু অংশে প্রচার চালানোর দায়িত্ব দিয়েছিলেন বিপ্লবী সত্যেন্দ্রনাথ বসু। সেই দায়িত্ব পেয়ে গর্বে ক্ষুদিরামের বুক ফুলে উঠেছিল। শুরু হয়েছিল তাঁর পদযাত্রা। তখন তাঁর পরনে মোটা ধুতি, গায়ে তেমনি মোটা জামা, মাথায় পাগড়ি, হাতে একগাছা শক্ত লাঠি, খালি পা। তাঁর পিঠের ছোট্ট বোঝার মধ্যে থাকত দরকারি জিনিসপত্র – গীতা আর স্বদেশী গানের বই। তাঁর মুখে ছিল আনন্দের জ্যোতি। দেশের কাজের জন্য তাঁর কোন ক্লান্তি ছিল না, শ্রান্তি ছিল না। একজন পরিব্রাজকের মতন চলতেন ক্ষুদিরাম, তাঁর সঙ্গে থাকত স্বেচ্ছাসেবকের দল। মেদিনীপুর থেকে জকপুর, বালিচক, সবং। মুগবেড়িয়া থেকে ভগবানপুর, পটাশপুর, এগরা। পথে যেখানেই তিনি বিশ্রাম নিতেন সেখানেই তিনি স্বেচ্ছাসেবক সংগ্রহ করতেন, করতেন ব্যায়ামাগারের প্ৰতিষ্ঠা। কিশোর, যুবক, তরুণদের শেখাতেন কুস্তি, লাঠিখেলা, ছোরাখেলা। এসব খেলায় ক্ষুদিরামের জুড়ি ছিল না, বিশেষতঃ লাঠি খেলায়। সেইসময় একবার ভগবানপুরে মহরমের দিন ছিলেন ক্ষুদিরাম। সেখানে কয়েকজন স্থানীয় মুসলমান লাঠিয়াল দেখতে এসেছিলেন ক্ষুদিরামকে। তাঁরা লাঠিখেলায় ক্ষুদিরামের খুব নামডাক শুনেছিলেন। কিন্তু মুখোমুখি ক্ষুদিরামকে দেখে তাঁরা খুব হতাশ হয়েছিলেন। এতো একেবারে বাচ্চা ছেলে! লাঠিয়ালদের মধ্যে কেউ কেউ তাঁকে ঠাট্টাও করেছিলেন। কিন্তু লাঠিখেলা নিয়ে ক্ষুদিরাম কয়েকটা প্রশ্ন করতেই তাঁদের মুখ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ক্ষুদিরামের প্রশ্নের উত্তর না দিতে পেরে তাঁর উপরে ভীষণ চটে গিয়েছিল পাকা লাঠিয়ালের দল। তাঁরা বলেছিল – মুখে নয়, লাঠিতেই পরীক্ষা হয়ে যাক। ধরো লাঠি। দেখি কত বড় ওস্তাদ। লাঠিখেলা দেখতে ভিড় জমে গিয়েছিল চারপাশে। একদিকে একা ছেলেমানুষ ক্ষুদিরাম আর অন্য দিকে পাকা লাঠিয়ালের দল। সেই লড়াইতে একে একে হেরে গিয়েছিল তাঁদের চার-পাঁচজন। তারপরে শুরু হয়েছিল একসঙ্গে দুজনের বিরুদ্ধে লড়াই। বিদ্যুৎবেগে লাঠি ঘুরেছিল ক্ষুদিরামের। একটাও আঘাত লাগেনি তাঁর গায়ে। উল্টে তাঁর লাঠির আঘাতে দারুন চোট পেয়ে বিপক্ষের এক পাকা লাঠিয়াল লুটিয়ে পড়েছিলেন মাটিতে। সেই লাঠিয়াল চোট পেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়তেই, ক্ষুদিরামের হাতের লাঠি খসে পড়েছিল। তিনি তৎক্ষণাৎ শুরু করেছিলেন আহতের সেবা। শেষ পর্যন্ত বাঘা লাঠিয়ালরা তাঁকে ওস্তাদ বলে সেলাম জানিয়ে চলে গিয়েছিলেন।
এরপরে উড়িষ্যার পথে এগিয়ে গিয়েছিলেন ক্ষুদিরাম। দাঁতন, কটক হয়ে ভদ্রক। শালিন্দী নদীর পাড় ধরে ছিল ভদ্রক যাবার পথ। সেই পথ ধরে যেতে যেতে এক জায়গায় নদীতে স্নান করতে গিয়েছিলেন ক্ষুদিরাম। গ্রামবাসীরা ওমনি তাঁকে এসে বাধা দিয়েছিল। জানিয়েছিল, সেখানে নদীর মধ্যে গভীর এক গর্তের মধ্যে জাগ্রত চণ্ডীদেবী আছেন। প্রতি শনি ও মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁরা নদীর পাড়ে দেবীর পূজা দেন। পরের দিন সকালে সে সবের কোন চিহ্ন থাকে না। দেবী সমস্ত পূজা গ্রহণ করেন। সেখানে নদীতে নামলে রক্ষে নেই! অনেকেই নাকি সেখানে নদীতে নেমে বেঘোরে প্রাণ দিয়েছিলেন। সব শুনে ক্ষুদিরাম হেসেছিলেন, বলেছিলেন, তাই নাকি? তাহলে তো দেবীকে দর্শন না করে যাওয়া ঠিক হবে না। তারপরে কারও বারণ না শুনে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন ক্ষুদিরাম। গভীর জলে ডুব দিয়ে তুলে এনেছিলেন একটা নতুন লালপেড়ে শাড়ি। গ্রামবাসীদের জানিয়েছিলেন, নদীর তলায় একটা গর্তের মধ্যে কাঠের প্রতিমার মতন কিছু একটা আছে, তার গায়ে জড়ানো ছিল শাড়িটা। কাপড়টা দেশি নাকি বিলাতি সেটা দেখার জন্য তিনি সেটা খুলে নিয়ে এসেছেন! গ্রামবাসীরা তাঁকে ওটা ফিরিয়ে দিয়ে আসতে বলেছিল। তাঁকে ভয় দেখিয়েছিল যে নইলে দেবী এসে তাঁর ঘাড় মটকে দেবেন! ক্ষুদিরাম হাসতে হাসতে বলেছিলেন, এ বেজায় শক্ত ঘাড়। মটকানো এত সোজা নয়। কোন ব্যাটা নদীর মধ্যে কাঠের মূর্তি পুঁতে দেবীর নামে নিজেই পূজা খাচ্ছে, তা কে জানে। তবে স্থানীয় লোকজনদের খাতিরে ক্ষুদিরাম শাড়িটা আবার জলের নীচে রেখে দিয়ে এসেছিলেন। তবে তা দেবীর ভয়ে নয়। কারণ ভয় তিনি কাউকেই পেতেন না – না ইংরেজদের, না কোন দেবীকে।
যে কোন ধরণের দুঃসাহসিক কাজে ক্ষুদিরামের জুরিদার কেউ ছিলেন না। তিনি কোনদিনই দেশের কাজ করতে কোন দ্বিধা করতেন না। একবার হাটগেছিয়ায় তাঁর দিদির দেশের বাড়িতে গিয়েছিলেন ক্ষুদিরাম। সামনেই ছিল কালীপূজা। সুযোগ বুঝে এক অন্ধকার রাতে একাই সেখানকার সরকারি ডাক লুঠ করেছিলেন। তখন বিপ্লবের কাজের জন্য টাকা সংগ্রহ করতে বিপ্লবীরা এসব পথ নিতেন। ক্ষুদিরামের সেই কীর্তি কেউ জানতে পারে নি, কিন্তু তিনি ধরা পড়ে গিয়েছিলেন তাঁর দিদির কাছে। তাই বাড়ির সবার অগোচরে রাতারাতি কয়েক মাইল ধানজমির জলকাদা ভেঙে গোপীগঞ্জের স্টিমার ধরে তিনি প্রথমে চলে গিয়েছিলেন কোলাঘাট, তারপরে সেখান থেকে সোজা মেদিনীপুর। তবে সেই সময়টায় একবার ভয়ানক অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ক্ষুদিরাম। একে অত্যাধিক পরিশ্রম, তার উপরে তাঁর কোন ঠিকানা ছিল না খাওয়া দাওয়ার। ফলে তাঁর প্রচণ্ড রক্ত আমাশা দেখা দিয়েছিল। সকলেই সন্দেহ করেছিলেন যে তিনি বাঁচবেন কিনা! কিন্তু ক্ষুদিরাম সকলকে আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন, তোমরা কিছু ভেবো না, আমি শ্রী অরবিন্দের আশীর্বাদ পেয়েছি, সামান্য অসুখ-বিসুখে আমি মরব না। ঠিক সেরে উঠেছিলেন ক্ষুদিরাম। মনে হয় সেটা শুধুমাত্র মনের জোরে, নয়ত আরেক মহৎ মৃত্যু বরণ করার জন্য।
তবে ক্ষুদিরামকে নিয়ে খুব সমস্যায় পড়েছিলেন তাঁর জামাইবাবু অমৃতলাল। তিনি ছিলেন সামান্য এক সরকারি কর্মচারী। ক্ষুদিরাম তাঁর আশ্রয়ে থাকার জন্য সাহেবদের বিষ নজর পড়েছিল তাঁর উপরে। কয়েকবার তাঁকে এই ব্যাপারে সতর্কও করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি না পারছিলেন ক্ষুদিরামকে সামাল দিতে, আবার না পারছিলেন তাঁকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে। নিজের ছেলের মতই তিনি ভালোবাসতেন ক্ষুদিরামকে। শেষে তাঁর চাকরি চলে যাবার মতন অবস্থা হয়েছিল। নিজের জামাইবাবুর অবস্থা বুঝতে ক্ষুদিরামের দেরি হয় নি। নিজের কাজের ব্যস্ততার জন্য তিনি এমনিতেই বাড়িতে কম থাকতেন। শেষে দিদির বাড়ি একেবারেই ছেড়ে দিয়েছিলেন। তিনি চাননি তাঁর জন্য তাঁর দিদি ও জামাইবাবুর সংসারের কোন ক্ষতি হোক। দিদির বাড়ি ছাড়ার পরে ক্ষুদিরাম প্রথমে আশ্রয় নিয়েছিলেন এক তাঁতশালায়। আবার কখনও থাকতেন কোন ছাত্রাবাসে, আবার কখনও থাকতেন বিপ্লবী সত্যেন্দ্রনাথ বসুর আশ্রয়ে। তখন ক্ষুদিরামের প্রতিটা পদক্ষেপের উপরে পুলিশের তীক্ষ্ণ নজর ছিল। এই সময়েই এক নতুন দিদিকে তাঁর জীবনে পেয়েছিলেন ক্ষুদিরাম। তিনি ছিলেন মেদিনীপুরের প্রখ্যাত আইনজীবী সৈয়দ আবদুল ওয়াহেদ সাহেবের ভগ্নী। ধর্মে তিনি ছিলেন মুসলমান। কিন্তু ধর্মের প্রাচীর সেই স্নেহশীলা রমণীর হৃদয়কে আড়াল করতে পারেনি। তিনি গভীর স্নেহে ক্ষুদিরামকে নিজের বুকে টেনে নিয়েছিলেন, তাঁকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। সেই দিদির ভয়, ভাবনা আর ভালোবাসা ক্ষুদিরামকে ঘিরে রেখেছিল তাঁর জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত।
এই সময়ে কিছু দিনের জন্য সন্ন্যাস নিয়েছিলেন ক্ষুদিরাম। একটা চিঠিতে তিনি দিদি অপরূপাকে লিখেছিলেন – দিদি, আমার দ্বারা সহজ প্ৰথায় সংসার করা সম্ভব হবে না। পড়াশুনা করার ইচ্ছা আমার নেই। আমি সন্ন্যাস অবলম্বন করলাম। ভারতের দিকে দিকে ভ্রমণ করব, আর্তের বেদনা উপলব্ধি করার চেষ্টা করব। দেশকে স্বাধীন করতে হলে দেশের মাটি আর মানুষকে সবার আগে চেনা দরকার। ভগবানকে খুঁজতে নয়, দেশের মানুষকে চিনতে ও জানতে সন্ন্যাসী হয়ে পথে বেরিয়ে পড়েছিলেন ক্ষুদিরাম। পথ চলতে চলতে একসময় গিয়ে উঠেছিলেন বাঁকুড়ার এক দুঃস্থ, রুগ্ন, বৃদ্ধ কৃষকের বাড়িতে। তাঁদের চাষবাস করার কেউ ছিল না, তাই সংসার ছিল অচল। তাঁদের দুঃখ, কষ্ট সহ্য না করতে পেরে ক্ষুদিরাম নিজেই লাঙ্গল-কোদাল নিয়ে চাষের কাজে নেমে পড়েছিলেন। কিন্তু সেই অভ্যাস তো তাঁর ছিল না। ফলে কঠোর পরিশ্রম ও অযত্নে কয়েক মাসের মধ্যেই তাঁর শরীর ভেঙে পড়েছিল। শেষে তিনি বাধ্য হয়েছিলেন পুনরায় মেদিনীপুরে ফিরে আসতে। হয়ত আরও কিছুদিন তিনি সেখানে থাকতেন, কিন্তু সেখানকার স্থানীয় লোকজন তাঁকে পুলিশের টিকটিকি বলে সন্দেহ করা শুরু করেছিল। তাই শেষে সন্ন্যাসী হওয়া ক্ষুদিরামের আর হয় নি, কিন্তু দেশের মাটির সঙ্গে গভীর নাড়ির যোগাযোগ ঘটেছিল তাঁর।
(তথ্যসূত্র:
১- ক্ষুদিরামের ফাঁসি, সুনীল জানা, দে’জ পাবলিশিং (২০১৪)।
২- ক্ষুদিরাম, সারা বাংলা শহীদ ক্ষুদিরাম আত্মোৎসর্গ শতবর্ষ উদযাপন কমিটি (১৯৯১)।
৩- বাংলায় বিপ্লব প্রচেষ্টা, হেমচন্দ্র কানুনগো, চিরায়ত প্রকাশন।)
মতামত লেখকের ব্যক্তিগত