করোনা সংক্রমণ ও লকডাউন- এই জোড়া ধাক্কা সামলে গত নভেম্বর থেকেই বিয়ের মরশুম শুরু হয়েছে। আর সেই বিয়ের মরশুমে মধ্যবিত্তের মুখে হাসি ফুটিয়ে সোনার দাম নিম্নমুখী। পুজোর সময় যে দাম হয়েছিল, আজ তার থেকে ভরিপিছু প্রায় আট হাজার টাকা দাম কমেছে সোনার। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই দাম আরও কমতে পারে ভেবে লোকে আবার সোনা কিনছেন না। আরও কিছুদিন ধৈর্য ধরতে চাইছেন। আর তাতে লোকসানের সম্ভাবনা থাকছে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই।
পলিসি বাজার অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ২২ ক্যারটের ১০ গ্রাম সোনার দাম ৪৭ হাজার ৪১০ টাকা। বুধবার যা ছিল ৪৭,৫০০ টাকা। অন্যদিকে একই পরিমাণের ২৪ ক্যারট সোনার দাম বৃহস্পতিবার ৫০,৫১০ টাকা। বুধবার তা ছিল ৫০,৬০০ টাকা। সঙ্গে অবশ্যই জিএসটি এবং টিসিএস যোগ হবে। উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন ধরেই ভারতে সোনার দাম নিম্নমুখী। সদ্য শেষ হওয়া নভেম্বর মাসে বিশ্ব বাজারে এই মূল্যবান ধাতুর দাম এক ধাক্কায় অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। ফলে গয়না কেনার যাঁদের ভাবনা আছে স্বাভাবিকভাবে তাঁরা খুশি। প্রতিদিন নজর রাখছেন সোনার দামের উপর। কিন্তু কিনছেন না। কারণ দাম কমলেও সোনা এখনও আকাশছোঁয়া। ফলে আরও দাম কমার প্রত্যাশায় থাকছেন তারা।
তবে চলতি সপ্তাহে দাম খুব একটা যে কমেছে তা নয়। বরং কিছুটা আবার বাড়তে পারে। অন্তত তেমনটাই খবর। আর সেখানেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ব্যবসায়ীরা। দাম কমেছে দেখে অনেক ব্যবসায়ীই সোনা বুক করেছেন। কিন্তু সেভাবে বিক্রি হয়নি। কারণ ছোট বা মাঝারি দোকানে ক্রেতা হয়নি। ফের দাম বাড়লে আরও বিক্রি কমবে। ফলে তাঁরা আরও সমস্যায় পড়তে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক টগরচন্দ্র পোদ্দার বলেন, “সোনার দাম গত কয়েক মাসের তুলনায় বর্তমানে অনেকটাই কমেছে। কিন্তু এই দাম আরও কমতে পারে ভেবে মানুষ সোনা কিনছে না। এতে ব্যবসায়ীদের কোনও লাভ হচ্ছে না। এরপর দাম আচমকা বাড়লে ক্রেতা—বিক্রেতা সবাই সমস্যায় পড়বেন।” স্বর্ণশিল্পী বাঁচাও কমিটির কার্যকরী সভাপতি বাবলু দে বলেন, “যে ভাবে দাম কমছিল বুধবার তা থেমেছে। বরং কিছুটা বাড়ার দিকে আবার। মানুষ যদি এখনও দাম কমার আশায় থাকে তবে তাদের ভুগতে হবে।”