আগামী ৯ ডিসেম্বর বনগাঁয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহাসভা। তাঁর আগেই আজ বাগদার হেলেঞ্চায় সভা করলেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেখান থেকেই মানুষের জন্য কাজ করতে হলে সকলকে তৃণমূলে আসার আহ্বানও করেন তিনি। যেমন, মতুয়াদের জন্য কাজ করতে শান্তনু ঠাকুরকে আহ্বান জানালেন তৃণমূলে যোগ দেওয়ার।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তর ২৪ পরগনা বাগদার হেলেঞ্চায় তৃণমূলের তরফে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভায় ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেখানে বাগদার নেতৃত্বকে মানুষের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দেন তিনি। বলেন, “বাগদায় যত তৃণমূল কর্মী আছেন, গোটা উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় নেই। সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে, কোনও কচকচনি চলবে না। কেন পারব না? বামফ্রন্টের আমলেও সারা জেলার মধ্যে বাগদা-বনগাঁ-গাইঘাটা আমাদের দখলে থাকত।”
নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যদি দলের দূরত্ব বেড়ে থাকে তাহলে পুরনো কর্মীদের কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। বলেন, “নতুনদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে। আগামীতে মাসে একবার করে আমি বাগদায় আসব। সমস্ত অঞ্চলের সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করব। বাগদা, বনগাঁ উত্তর, বনগাঁ দক্ষিণ ও গাইঘাটা বিধানসভা উন্নয়নের মাধ্যমে ২০২১ সালে বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে নেব। দুয়ারে দুয়ারে কর্মসূচি ছাড়াও বাগদায় কাস্ট সাৰ্টিফিকেটের জন্যে বিশেষ ক্যাম্প করা হবে বলেও এদিন ঘোষণা করেন মন্ত্রী।
এরপর সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “মতুয়া বাড়ির উন্নয়নের কাজ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা শান্তনু ঠাকুরকে আহ্বান জানাচ্ছি এক প্লাটফর্মে এসে কাজ করবার জন্য। কারণ, বিজেপিতে থেকে মতুয়াদের উন্নয়ন করা কখনোই সম্ভব না। বিজেপি ধান্দাবাজের দল।” এক প্ল্যাটফর্মে কাজ করার পরামর্শ কি দলে যোগের আহ্বান? উত্তরে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “বিজেপি ছেড়ে যদি উনি আসেন, তাহলে এক প্লাটফর্মে কাজ করতে তো আমাদের কোনও অসুবিধাই নেই।”