ফের বিপাকে পড়লেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি সি এস কান্নন। ইউটিউবে মহিলা বিচারপতি এবং বিচারপতিদের স্ত্রী সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্যের দায়ে আজ তাঁকে গ্রেফতার করেছে চেন্নাই পুলিশ। সম্প্রতি প্রাক্তন বিচারপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় গড়িমসি করায় চেন্নাই পুলিশকে তুলোধনা করেছিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। তিরস্কারের পরেই এদিন তড়িঘড়ি মুখরক্ষা করতে গ্রেফতার করা হয় প্রাক্তন বিচারপতিকে।
মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে যোগ দেওয়ার কিছুদিন বাদেই একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন সিএস কান্নন। বেনজিরভাবেই ২০১১ সালের নভেম্বরে নিজের চেম্বারে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি অভিযোগ করেন, দলিত সম্প্রদায় থেকে তিনি উঠে এসেছেন বলেই অন্যান্য বিচারপতিরা তাঁকে লাগাতার অসম্মান ও হেনস্থা করে চলেছেন। এমনকী তফশিলি জাতিদের গঠিত জাতীয় কমিশনের কাছেও লিখিতভাবে একই অভিযোগ করেন। তার পর থেকে সতীর্থ বিচারপতিদের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করে বিতর্কের শিরোনামে এসেছে।
শেষ পর্যন্ত ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে মাদ্রাজ হাইকোর্টের ২০ জন বিচারপতি একত্রে বিচারপতি কান্ননকে অন্য কোনও হাইকোর্টে বদলির জন্য তৎকালীন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কাউলকে চিঠি পাঠান। ২০১৫ সালে ফের বিচারপতি সিএস কান্নন অভিযোগ করেন, এক ইন্টার্নকে যৌন নির্যাতন করেছেন এক বিচারপতি। ২০১৬ সালে অবশেষে দেশের শীর্ষ আদালতের কলেজিয়াম বিচারপতি কান্নকে মাদ্রাজ হাইকোর্ট থেকে কলকাতা হাইকোর্টে বদলি করে।
ক্ষিপ্ত বিচারপতি ২০১৭ সালের ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এক খোলা চিঠিতে সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টের ২০ জন বিচারপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ জানান। ওই বছরের ৮ মে তৎকালীন দেশের প্রধান বিচারপতি জগদীশ সিং খেহার সহ শীর্ষ আদালতের আরও সাত বিচারপতির বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করার পাশাপাশি তাঁদের সবাইকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। পরের দিনেই আদালত অবমাননার দায়ে শীর্ষ আদালত বিচারপতি সিএস কান্ননকে ৬ মাসের কারাদণ্ডের সাজা দেয়।