আজ, মঙ্গলবার থেকে সাধারণের ‘দুয়ারে’ পোঁছবে খোদ সরকারই। এই কর্মসূচি সফল করতে রাজ্যজুড়ে ২০ হাজার শিবির হচ্ছে। যে কোনও নাগরিক কোনও সরকারি পরিষেবা না-পেয়ে থাকলে ক্যাম্পেই আবেদন করতে পারবেন। তার আগে সোমবার ভার্চুয়াল বৈঠকে মুখ্যসচিব থেকে জেলা স্তরের পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকদের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, সাধারণ মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না-হয়, সে জন্য কোন পরিষেবা পেতে কী কী নথি বা তথ্য পেশ করতে হয়, তা ভালো করে বুঝিয়ে বলতে হবে।
৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত চার দফায় চলবে মমতা সরকারের এই ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি। লক্ষ্য থাকবে যাতে সরকারের ১১টি সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা থেকে রাজ্যের একটি পরিবারও বঞ্চিত না হয়। কেউ তালিকাভুক্ত না হয়ে থাকলেও বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা বা প্রতিবন্ধী ভাতার আবেদনও নেওয়া হবে এই সব শিবিরে। যে কোনও অভিযোগ ও আবেদনের দ্রুত নিষ্পত্তিতে সরকারি কর্মীরা ফর্ম, কম্পিউটার-সহ সমস্ত সরকারি পরিকাঠামো নিয়ে হাজির থাকবেন। ১০০ দিনের কর্মসংস্থান প্রকল্পেও কেউ কাজের জন্য শিবিরে এসে আবেদন জানালে ১৫ দিনের মধ্যে কাজের ব্যবস্থা করা হবে। শিবিরের কাজের গতিপ্রকৃতি পোর্টালের মাধ্যমে নজরদারি করা হবে খাস নবান্ন থেকে। সোমবার নবান্ন থেকে কর্মসূচির প্রস্তুতি নিয়ে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনার, মহকুমাশাসক ও বিডিওদের সঙ্গে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। বাড়ি থেকেই মুখ্যমন্ত্রী যোগ দেন বৈঠকে। নবান্ন সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, শিবিরে কেউ এলে তাঁকে বুঝিয়ে বলতে হবে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে ঠিক কী তথ্য পেশ করতে হবে। নির্দিষ্ট কাগজ আনলে শিবির থেকেই ফর্ম পূরণ করে পরিবষেবার ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
রতিটি জেলাতেই সচিব বা প্রধান সচিব পর্যায়ের এক আধিকারিককে নোডাল অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে পরিকল্পনা ও পরিসংখ্যান দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে টাস্ক ফোর্সও গড়া হয়েছে। ১৬টি দপ্তরের আধিকারিক এর সদস্য। শিবিরের দৈনন্দিন কাজকর্ম দেখভাল করবে টাস্ক ফোর্স। এর উপরে থাকছে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে কমিটি। খাদ্যসাথী, কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, ঐক্যশ্রী, রূপশ্রী, জয় জোহারের মতো প্রকল্পেও আবেদন করা যাবে। মুখ্যসচিব জানান, প্রতিদিন কত লোক শিবিরে আসছেন, কত আবেদন জমা পড়েছে, কতগুলি আবেদনের নিষ্পত্তি হল–পোর্টালের মাধ্যমে নবান্নে বসেই নজরদারি চালানো হবে।