প্রথমে ঠিক ছিল রবিবার। তবে শেষ মুহূর্তের কাজ এখনও চলছে। তবে অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে জানা গেল, আগামী বৃহস্পতিবার বিকেলেই মাঝেরহাটের নবনির্মিত চার লেনের কেবল সেতুর উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেলের তরফে সুরক্ষার চূড়ান্ত সার্টিফিকেট পাওয়ার পর ব্রিজের সমাপ্তির সর্বশেষ প্রযুক্তিগত পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপট পরিদর্শন শেষে শনিবার এই খবর জানিয়েছেন পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। নবান্ন সূত্রে খবর, ৩ ডিসেম্বরই জনসাধারণের জন্য নয়া ব্রিজটি চালুর সবুজ সঙ্কেত দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে গতকাল রেলের বিরুদ্ধে গড়িমসি করে ৯ মাস সময় নষ্টের পাশাপাশি ঘৃণ্য রাজনীতির অভিযোগ এনে বিজেপির পাল্টা মিছিল করেছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে নয়া সেতু চালু নিয়ে যতই চাপানউতোর থাকুক না কেন, মাঝেরহাট ব্রিজ দিয়ে ফের যাতায়াত করার খবরে খুশি বেহালা তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনার মানুষ। আর রাজ্য সরকারের পূর্ত দফতর করোনা-কালের বাধা অতিক্রম করে যে রেকর্ড সময়ে নির্মাণকাজ শেষ করল, তার কৃতিত্বের কথা স্বীকার করছেন রেলের আধিকারিকরাও।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টে ৪২ মিনিটে আচমকাই ভেঙে পড়েছি মাঝেরহাট ব্রিজের একাংশ। যেহেতু বজবজ সেকশনের রেল লাইনের উপর দিয়ে সেতু, তাই প্রথা অনুযায়ী রেলওয়ের অংশের নির্মাণের দায়িত্ব এবং খরচ দেওয়ার কথা রেলের। কিন্তু কেন্দ্রের বরাদ্দের অপেক্ষায় না থেকে পুরো ব্রিজের খরচ ২৫০ কোটি টাকার বেশির দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন মুখ্যমন্ত্রী। পূর্তমন্ত্রী গতকালও ব্রিজের ‘ফিনিশিং টাচ’ দেখতে এসে অভিযোগ করেন, “রেল তো টাকা দেয়নি, উলটে নানা কাজে সাহায্য করার জন্য ৩৩,২৯ কোটি টাকা নিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার সাহায্য করার বদলে ৯ মাস দেরি করিয়ে হেনস্তা করেছে। নাহলে অনেক আগে মুখ্যমন্ত্রী ব্রিজ চালু করে দিতেন।”