নয়া কৃষি আইন কৃষকদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এই আইন কালোবাজারি-লুঠেরাদের সাহায্য করছে। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে ফের একবার কেন্দ্র সরকারকে তুলোধোনা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর বার্তা, ‘ডাকলে আমিও দিল্লি যাব। আপনাদের পাশে দাঁড়াব। আন্দোলন করব।’
নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ২৭ নভেম্বর ‘দিল্লী চলো’ অভিযানের ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। অথচ করোনা সংক্রমণে লাগাম পরাতে দিল্লীর সমস্ত সীমানা সিল করা হয়েছে। যন্তরমন্তরে পৌঁছতে না দিয়ে কৃষকরা দিল্লী-হরিয়ানা হাইরোডে ধর্ণায় বসবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে। এদিকে এদিন পাঞ্জাব থেকে হরিয়ানা ঢোকার পথে কৃষকদের জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। তাতেও বিশেষ লাভ হয়নি অবশ্য। হরিয়ানার পুলিশের এই আচরণের তীব্র নিন্দা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, ‘কেন্দ্র সরকার কৃষকদের সমস্ত গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। এই আইন কৃষকদের মঙ্গলের জন্য আনা হয়নি।’
সংসদের বাদল অধিবেশনে তিনটি কৃষি বিল পাশ করায় কেন্দ্রীয় সরকার। তাঁদের দাবি, চাষিদের স্বার্থেই নয়া আইন কার্যকর করা হয়েছে। পালটা বিরোধীদের অভিযোগ কৃষকদের অধিকার কেড়ে নিতেই এই বিল আনা হয়েছে। সেই সুর শোনা গেল বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর গলাতেও। এদিন তিনি বলেন, ‘নতুন কৃষি আইন চাষিদের সর্বনাশ করবে। চাষিদের মুখের গ্রাস কেড়ে নেবে এই আইন। আলু-পিঁয়াজ ছিনিয়ে নেবে। শুধুমাত্র কালোবাজারি, লুঠেরাদেরই সাহায্য করবে।’ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, দেশের জনতাকে মেরে ফেলতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই চাষিদের ফসল বিক্রির অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এই আইন বিরোধী কৃষকদের পাশেই তিনি আছেন বলেও বার্তা দেন। মমতা বলেন, ‘আপনারা ডাকলে আমিও আপনাদের আন্দোলনে শামিল হব।’