নীতিশকে এবার ‘মহাগঠবন্ধন’ তথা মহাজোটে যোগ দিতে আহ্বান জানালেন আরজেডি নেতারা। তাঁদের কথায়, এনডিএ সরকার টিকবে না। নীতীশ কুমার মহাজোটে যোগ দিলে স্বাগত। উল্লেখ্য, মহাজোটে রয়েছে কংগ্রেস ও বামেরাও।
এব্যাপারে তেজস্বী নিজে কিছু না বললেও প্রবীণ আরজেডি নেতা অমরনাথ গামী জোটে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমারকে। তাঁর দাবি, ভোটে কারচুপি করে এনডিএ ১২৫টি আসন জিতে সরকার গড়তে চললেও, নীতিশ কুমারের জেডিইউ-এর ঝুলিতে এসেছে মাত্র ৪৩টি আসন। ৭৪ আসন পাওয়া বিজেপি মোট আসনের নিরিখে অনেকটাই এগিয়ে। তবুও নীতিশই মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জোটধর্ম পালন করলেও, রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের অনেক নেতা কর্মীই এতে খুশি নয়। নীতিশের সঙ্গে দু’জন উপমুখ্যমন্ত্রী দিয়েছে বিজেপি। গুরুত্বপূর্ণ অনেক মন্ত্রকই বিজেপির হাতে। নীতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী হলেও সরকারের রিমোট কন্ট্রোল বিজেপির হাতেই থাকবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এই অবস্থায় এনডিএ সরকার বেশিদিন স্থায়ী নাও হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। নীতীশ মুখ্যমন্ত্রী হলেও তাঁকে প্রায় দ্বিগুণ আসন পাওয়া বিজেপি-র হাতের পুতুল হয়ে থাকতে হতে পারে। মাঝপথে এনডিএ ছেড়ে বেড়িয়ে আসতে চাইতে পারেন নীতিশ, এমন সম্ভাবনাও কেউ উড়িয়ে দিচ্ছেন না। মহারাষ্ট্রের মতো বিহারেও জেডিইউ-এর সঙ্গে জোট গড়ে, ধীরে ধীরে গত ১৫ বছরে দলীয় সংগঠনকে কাজে লাগিয়ে, রাজ্যে বিজেপি ব্যাপক ক্ষমতা বাড়িয়ে নিয়েছে। ভোটের ফলেই তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
কাজেই অস্তিত্ব রক্ষার জন্যও জেডিইউ বিজেপির সঙ্গ ছাড়তে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এই অবস্থায়, ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে আরজেডি। আগে ভাগেই, নীতিশের দিকে হাত বাড়িয়ে রাখছে ৭৫ আসনে জিতে রাজ্যের বৃহত্তম দল হওয়া আরজেডি, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।