অক্টোবরের শুরু থেকে দেশে নামতে শুরু করেছিল করোনাভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণ। মাঝখানে কিছুদিন তা ৪৫ হাজারে আশপাশে ঘোরাফেরা করলেও ফের ৪০ হাজারের নিচে নামল দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা। তুলনায় এই মারণ ভাইরাসের কবল থেকে মুক্তি পেলেন অনেক বেশি মানুষ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৭ হাজার ৯৭৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯১ লক্ষ ৭৭ হাজার ৮৪১ জন। অন্যদিকে, এদিন দেশে মৃত্যু হয়েছে ৪৮০ জনের। এই সংখ্যাটাও আগের দিনের থেকে সামান্য কম। ফলে দেশে মোট মৃত্যু বেড়ে দাঁড়াল ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ২১৮ জন।
মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লী, এই ছয় রাজ্যেই ক্রমান্বয়ে ভারতের কোভিড পরিসংখ্যানে ওপরের দিকে। মহারাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১৭,৮৪,৩৬১ জন। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৪৬,৬৫৩ জনের। সুস্থ হয়েছেন ১৬,৫৪,৭৯৩ জন। অ্যাকটিভ কেস ৮২,৯১৫। কর্ণাটকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮,৭৪,৫৫৫। মৃত্যু হয়েছে ১১,৬৭৮ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৮,৩৮,১৫০ জন। এবং অ্যাকটিভ কেস ২৪,৭২৭। অন্ধ্রপ্রদেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮,৬২,৭৫৮ জন। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৬৯৪৮ জনের। সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৮,৪২,৪১৬ জন। অন্ধ্রপ্রদেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ১৩,৩৯৪।
তামিলনাড়ুতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭,৭১,৬১৯। কোভিড সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ১১,৬২২ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭,৪৭,৭৫২ জন। তামিলনাড়ুতে অ্যাকটিভ কেস ১২,২৪৫। উত্তরপ্রদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫,২৮,৮৩৩। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৭৫৮২ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৪,৯৭,৪৭৫ জন। উত্তরপ্রদেশে অ্যাকটিভ কেস ২৩,৭৭৬। দিল্লীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫,৩৪,৩১৭। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৮৫১২ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪,৮৮,৪৭৬ জন। রাজধানী শহরে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৩৭,৩২৯। সবমিলিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ৪২ হাজার ৩১৪ জন। এই মুহূর্তে দেশে মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ৮৬ লক্ষ ৪ হাজার ৯৫৫ জন। চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা অর্থাৎ অ্যাকটিভ কেস কমে দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৩৮ হাজার ৬৬৭ জন।