রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বন্য জন্তুদের হানায় মারা গেছেন বহু মানুষ। তাই মৃতদের পরিবারের এক জন করে সদস্যকে চাকরি দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই সংক্রান্ত আবেদনের মধ্যে থেকে ৪৩৪ জনকে প্রথম ধাপে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করল রাজ্য বন দফতর। রাজ্য বন দফতরের পক্ষ থেকে বাছাই প্রার্থীদের সেই তালিকা ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই প্রকাশ করা হয়েছে।
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বন্য জন্তুদের হাতে মৃত্যু হয়েছে বহু সাধারণ মানুষের। এদের মধ্যে হাতির হামলায় মৃত্যুর সংখ্যাই সর্বাধিক। ওই সব মৃতের পরিবার-পিছু এক জনকে বন দফতরে হোমগার্ড পদে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য বন দফতর। সরকারের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পরে বহু আবেদন জমা পড়ে বন দফতরে। তার মধ্যে থেকে ঝাড়াই বাছাইয়ের পরেই ৪৩৪ জনের নাম বেছে নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে জলপাইগুড়ি জেলার সর্বাধিক ৯৬ জন চাকরি পাচ্ছেন। তার পরেই রয়েছে আলিপুরদুয়ার এবং বাঁকুড়া। এই দুই জেলা থেকে ৭২ জন চাকরি পাচ্ছেন। ৬৬ জন চাকরি পাচ্ছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে। এঁরা মূলত সুন্দরবনে বাঘের হামলায় মারা গিয়েছেন।
এ ছাড়াও ৪৭ ও ৪৬ জন চাকরি পেয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম থেকে। ২৬ জন চাকরি পেয়েছেন দার্জিলিং জেলা থেকে। এ ছাড়াও, কালিম্পং থেকে 8 জন, পুরুলিয়া থেকে ৭ জন চাকরি পেয়েছেন। ২ জন চাকরি পেয়েছেন কোচবিহার এবং এক জন চাকরি পেয়েছেন হাওড়া থেকে। রাজ্য বন দফতরের এক কর্তা এদিন জানিয়েছেন, “বন্য জন্তুর হামলায় মৃতদের পরিবারের এক জনকে চাকরি দেওয়ার দাবি বহু দিনের। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীও এই কথা ঘোষণা করেছিলেন। অবশেষে আজ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হল।”