করোনা সংক্রমণে লাগাম টানতে ত্রুটি রাখছেন না গবেষকরা। দিনরাত এক করে করোনার টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। এরমধ্যেই কেন্দ্রীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাইসেডে কোভিডের টিকা-পরীক্ষার কথা চূড়ান্ত হয়েছে। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আর একটি সুখবর মিলল। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের অধীন স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে করোনার টিকা পরীক্ষার জন্য সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন।
স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম বলেন, ‘‘টিকা পরীক্ষার জন্য স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন’কে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি বিশেষজ্ঞেরা খতিয়ে দেখছেন।’’ স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, আগামী মঙ্গলবার এসটিএমের এথিক্স কমিটির বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকে আনুষ্ঠানিক ভাবে অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে সেখানেও ডিসেম্বরে টিকা-পরীক্ষার কাজ শুরু হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে সারা দেশে করোনার টিকা-পরীক্ষায় দ্বিতীয় সারিতে চলে আসবে বাংলা।
নাইসেডে ‘কোভ্যাক্সিনে’র পরীক্ষার বিষয়টি শুক্রবার চূড়ান্ত হলেও এসটিএমে ‘কোভোভ্যাক্স’ এবং সাগর দত্তে ‘স্পুটনিক ভি’র প্রস্তাবিত পরীক্ষা নিয়ে রাজ্যের চিকিৎসক-গবেষকদের গলায় আক্ষেপের সুর শোনা গিয়েছিল। তাঁদের দাবি ছিল, ‘কোভোভ্যাক্স’ এবং ‘স্পুটনিক ভি’র পরীক্ষার জন্য অনুমোদন প্রাপ্তির প্রক্রিয়া থমকে থাকায় টিকা-পরীক্ষায় এগিয়ে গেল নাইসেড। সেই দাবি খণ্ডন করেই স্বাস্থ্যসচিব এ দিন বলেন, ‘‘করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষার বিষয়টি আর পাঁচটা সাধারণ ভ্যাকসিনের মতো নয়। এর সঙ্গে রাজ্যবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিও জড়িয়ে রয়েছে। চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলির কাছে টিকা পরীক্ষার জন্য যে সকল প্রস্তাব রয়েছে তা সরকারি প্রক্রিয়া মেনে আসা মাত্র অনুমোদন প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে কোথাও কোনও দেরি হয়নি।’’
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, নাইসেডের মতো এসটিএমের টিকা পরীক্ষাতেও অন্যতম অংশীদার আইসিএমআর। বস্তুত, আইসিএমআর-ন্যাশনাল এডস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে এসটিএমের কাছে ‘কোভোভ্যাক্সে’র পরীক্ষার প্রস্তাবটি আসে। আমেরিকার সংস্থা ‘নোভাভ্যাক্সে’র সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে এ দেশে করোনার টিকা পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে আইসিএমআর এবং পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট। এ রাজ্যে ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবককে টিকা দেওয়া হবে।