মোদী সরকারের করা বেসরকারিকরণ ছাড়াও ব্যাঙ্কের শূন্য পদে নিয়োগ এবং নয়া পেনশন নীতির প্রতিবাদে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালাচ্ছিল ট্রেড ইউনিয়নগুলি। চলতি মাসের শেষের দিকে আবারও একবার ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের পথে হাঁটতে চলেছে তারা। মোদী সরকারের নয়া আইনের প্রতিবাদে আগামী ২৬ নভেম্বর দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কৃষক ও কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন। তাদের সেই দাবিকে সমর্থন জানিয়ে একই সঙ্গে নিজেদের দাবিগুলোকে তুলে ধরে ওইদিন ধর্মঘটে সামিল হচ্ছে অধিকাংশ ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন। এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে তাতে ২৬ নভেম্বর হতে চলেছে দেশব্যাপী ব্যাঙ্ক ধর্মঘট। শুধু তাই নয় প্রস্তাবিত এই ব্যাঙ্ক ধর্মঘটে সামিল হতে চলেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কর্মচারীরাও। ফলস্বরূপ ওই তারিখে দেশের ব্যাঙ্কিং পরিষেবা কার্যত অচল হতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের অন্যতম বৃহৎ সংগঠন বিইএফআই এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশে ফিক্সড ডিপোজিটের সুদের হার ব্যাপকভাবে কমতে শুরু করেছে। ফিক্সড ডিপোজিটের সুদের হার কমেছে আরও তিনটি ব্যাঙ্ক। যার মধ্যে রয়েছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কও। বর্তমানে দেশের বৃহত্তর ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াতে সাধারণ মানুষের ন্যুনতম সুদের হার ২.৯ শতাংশ। ফলস্বরূপ চূড়ান্ত সমস্যার মুখে দেশের মধ্যবিত্ত ও প্রবীণ মানুষেরা। কেন্দ্রীয় সরকারের ধ্বংসাত্মক নীতির বিরুদ্ধেই এই ধর্মঘট বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে বিইএফআই।