অক্টোবরের শুরু থেকেই দেশে নামতে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণ। মাঝে দু’ একদিন তা বেড়ে ৫০ হাজার পেরোলেও বেশিরভাগ দিনই গ্রাফ নামতে থাকে। তবে পরপর দু’দিন নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজারের আশেপাশে থাকার পর বুধবার যেন হঠাতই ছন্দপতন। একধাক্কায় অনেকটাই বাড়ল নতুন সংক্রমণ। ৩০ হাজার আশেপাশে থেকে একেবারে ৩৯ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গেল নতুন আক্রান্ত। বুধবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৮ হাজার ৬১৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৯ লক্ষ ১২ হাজার ৯০৮ জন।
প্রসঙ্গত, ভারতে কোভিড সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায় থেকেই মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এখান মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৭,৫২,৫০৯। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কর্ণাটক। এখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৮,৬৪,১৪০। তৃতীয় স্থানে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। এখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮,৫৬,১৫৯। চতুর্থ স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। এখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭,৬১,৫৬৮। পঞ্চম স্থানে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। এখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫,১৪,২৭০। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে দিল্লী। এখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৩৮,২১৭। মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লী, এই ছয় রাজ্যেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
অন্যদিকে, কোভিড সংক্রমণে এখনও পর্যন্ত ভারতে মৃত্যু হয়েছে ১,৩০,৯৯৩ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪৭৪ জনের। যদিও ভারতে কোভিড আক্রান্তদের সুস্থ হয়ে ওঠার পরিসংখ্যানটা বেশ স্বস্তিদায়ক। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ৪৪ হাজার ৭৩৯ জন। নতুন দৈনিক আক্রান্ত এবং দৈনিক করোনাজয়ীর সংখ্যার মধ্যে ব্যবধান সাড়ে ৬ হাজারেরও বেশি। এই মুহূর্তে দেশে মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ৮৩ লক্ষ ৩৫ হাজার ১১০ জন। চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা অর্থাৎ অ্যাকটিভ কেস কমে দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৪৬ হাজার ৮০৫ জন।