ভোটফেরত সমীক্ষা এগিয়ে রেখেছিল তাঁকেই। মঙ্গলবার সকালের দিকে সে সমীক্ষা মিলেও গেছিল। কিন্তু দিন গড়াতেই রদবদল। যদিও মাঝেমাঝেই মনে হয়েছে, নাহ্! নীতীশ আর পারলেন না! শেষ হাসি যদিও সেই নীতীশ কুমার আর বিজেপি-র জোটই হাসল। ১২২টি আসন পেল এনডিএ। তবে ভোটে হারলেও জিতে গেল তাঁর ম্যাজিক। তিনি তেজস্বী যাদব।
একক সংখ্যগরিষ্ঠ দল হিসেবে উঠে এল রাষ্ট্রীয় জনতা দল। ২৪৩টি আসনের মধ্যে ৭৫টি আসনে জয়ী হয়েছে তারা। মনে রাখতে হবে ১৪৪টি আসনে লড়েছে রাজেডি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপি। ৭৪টি আসনে জয়ী হয়েছে তারা। আর নীতীশের জেডিইউ পেয়েছে ৪৩টি আসন। ৭০টি আসনে লড়াই করে কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ১৯।
আর ভোটের আগে থেকেই নীতীশের মাথাব্যথার কারণ, চিরাগের এলজেপি জিতেছে মাত্র একটি আসনে। কিন্তু রামবিলাস–পুত্র পাসোয়ানের উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। নীতীশের দলের ভোট কাটতে সক্ষম হয়েছে তাঁদের প্রার্থী।
নির্বাচন কমিশন আগেই জানিয়েছিল, করোনা রোধের কারণে ইভিএম সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। তাই ভোট গণনা হতে সময় লাগবে। সেই মতো প্রায় রাত তিনটে নাগাদ বিহারে ঘোষিত হল চূড়ান্ত ফল।
এনডিএ-এর আরও দুই শরিক জিতন রাম মাঝির হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা এবং বিকাশশীল ইনসান পার্টি পেয়েছে চারটি করে আসন। ওদিকে বিরোধী মহাজোটের শরিক বামেরা পেয়েছে ১৬টি আসন। শুধু সিপিআইএমএল পেয়েছে তার মধ্যে ১২টি আসন।