পুলিশ মানেই ঘুষখোর, হাজার অভিযোগ৷ তবে পুলিশ যে মানবিক হতে পারেন তার নানান উদাহরণ আমাদের সামনে প্রায় আসে৷ আবারও পুলিশের এক মানবিক রূপ সামনে এল। ঘটনা ক্যানিং ২ ব্লকের জীবনতলা থানার হেদিয়া মোল্লাপাড়ায়।
দরিদ্র চাষির দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে ধানখেতে নেমে ধান বেঁধে দিলেন পুলিশকর্মীরা। তারপর সেই ধান মাঠ থেকে তুলে চাষির বাড়িতে পৌঁছেও দিলেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, একটি মামলার তদন্তের জন্য জীবনতলা থানার ওসি সমরেশ ঘোষ বাহিনী নিয়ে হেদিয়া মোল্লা পাড়ায় যান। ফেরার সময় দুপুর ১২ টা নাগাদ সমরেশবাবু দেখেন, প্রখর রোদ মাথায় করেই একলা জমিতে ধান বাঁধার কাজ করছেন এক বৃদ্ধ চাষি। গাড়ি থামিয়ে নেমে আসেন তিনি। এবং জানতে চান একা কাজ করছেন কেন!
পুলিশের প্রশ্নের জবাবে কোনওমতে তিনি জানান তাঁর দারিদ্রের কথা। লকডাউনে আর্থিক অনটন তীব্র হয়েছে আরও। জানান, চাষের কাজে অন্য কারও সাহায্য নেওয়ার কোনও উপায় এই মুহূর্তে নেই তাঁর। তাই কাজ করতে হচ্ছে একা একাই। এই কথা শোনামাত্র চাষির সঙ্গে ধান বাঁধার কাজে হাত লাগান জীবনতলা থানার ওসি সমরেশবাবু। থানার ওসি ধান বেঁধে দেওয়ার কাজে হাত লাগাতে মাঠে নেমে পড়েন অন্য পুলিশ কর্মীরাও।
এদিকে মাঠে পুলিশ ধান বাঁধার কাজ করছে এমন খবর চাউর হতেই মুহূর্তে ভিড় জমে সাধারণ মানুষের। সমরেশবাবু বলেন, ‘‘মানুষের কাজ করার জন্যই আমরা বেতন পাই। সবসময় চেষ্টা করি সেই কাজটা ঠিক করে করতে। আজ জীবনতলা এলাকায় খররোদে ওই বৃদ্ধকে একা মাঠের কাজ করতে দেখে কিছুটা সাহায্য করেছি মাত্র। ভাল লাগল খুব।’’