করোনার বিষদাঁত আমেরিকার বুকে এখনও কামড় বসাচ্ছে। এরই মধ্যে গবেষণায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। তা হল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভোট প্রচারের জন্যে আয়োজিত জনসভার কারণে আমেরিকায় ৩০ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন! আর সেই ৩০ হাজার মানুষের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৭০০ জনের! স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণাপত্রে উঠে এসেছে এই বিষয়টি। আর এই তথ্য সামনে আসতেই বিরোধীদের নিশানায় পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বিরোধীদের তরফে বলা হয়েছে, নিজের জেদ মেটাতেই এভাবে দিনের পর দিন সাধারণ নাগরিকদের জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলেছেন ট্রাম্প।
আমেরিকায় করোনা পরিস্থিতি যে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে, এ কথা কোনও দিনই স্বীকার করেননি ট্রাম্প। আর গত শুক্রবার একটি সমাবেশে তিনি দেশে বিপুল সংখ্যক করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর জন্য সরাসরি দায়ী করলেন চিকিৎসকদের! তাঁর বক্তব্য, ‘আপনার যদি হৃদরোগ থাকে এবং আপনি মৃত্যু পথযাত্রী হন কিংবা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে আপনার জীবনশক্তি ফুরিয়ে এসেছে, তাহলে আপনার করোনা হতেই পারে। সেই মৃত্যুকে করোনায় মৃত্যু বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। আসলে রোগীর মৃত্যু করোনায় হলে চিকিৎসকেরা বেশি অর্থ পান। এবার বুঝলেন তো গল্পটা কী?’
তবে, গবেষকদের যুক্তি একেবারেই ফেলে দেওয়ার মতো নয়। গত ২০ জুন থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মোট ১৮টি প্রচার সভার উপরে গবেষণা চালানো হয়েছিল। সেই সভা থেকেই করোনা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন গবেষকরা। যে সমস্ত জায়গায় ট্রাম্পের এই জনসভাগুলি হয়েছিল, সেখানে ট্রাম্পের সভার আগে–পরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বিচার করেই এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন গবেষকরা। অবশ্য ট্রাম্পের ১৮টি জনসভার মধ্যে মধ্যে তিনটি ছিল ইনডোরে।