মোট আক্রান্তের নিরিখে ব্রাজিলকে পিছনে ফেলে করোনা আক্রান্ত দেশগুলির তালিকায় এখন দ্বিতীয় স্থানে ভারত। তবে অক্টোবরের শুরু থেকেই কমছে দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত দু’সপ্তাহ ধরে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও ১ হাজারের কম হচ্ছে। আবার সক্রিয় রোগী কমার পাশাপাশি সংক্রমণের হারও গত ৪ দিন ধরে ৫ শতাংশের কম। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫৪ হাজার ৩৬৬ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। যার জেরে দেশে মোট আক্রান্ত হলেন ৭৭ লক্ষ ৬১ হাজার ৩১২ জন। পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার অনেকটাই কমে হয়েছে ৩.৭৭ শতাংশ।
আক্রান্তের নিরিখেও প্রথম থেকেই দেশের শীর্ষে মহারাষ্ট্র। এখনও অবধি ১৬ লক্ষ ২৫ হাজার লোক আক্রান্ত হয়েছেন সে রাজ্যে। যদিও দৈনিক সংক্রমণ সেখানে আগের থেকে অনেক কম। অন্ধ্রপ্রদেশ ৭ লক্ষ ৯৬ হাজার ও কর্ণাটকে ৭ লক্ষ ৮৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তামিলনাড়ুতে মোট আক্রান্ত ৭ লক্ষ পার করল। ৪ লক্ষ ৬৩ হাজার আক্রান্ত নিয়ে দেশের পঞ্চম স্থানে উত্তরপ্রদেশ। তার পরই রয়েছে কেরালা। সেখানে মোট আক্রান্ত ৩ লক্ষ ৬৯ হাজারে পৌঁছেছে। রাজধানী দিল্লীতে মোট আক্রান্ত ৩ লক্ষ ৪৪ হাজার। আবার উড়িষ্যা ২ লক্ষ ৭৬ হাজার ও তেলেঙ্গানাতে ২ লক্ষ ২৯ হাজার জন এখনও অবধি আক্রান্ত হয়েছেন। বিহার ও আসামে মোট আক্রান্ত ২ লক্ষ পেরিয়েছে।
অন্যদিকে, ভারতে ইতিমধ্যেই ১ লক্ষের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ৬৯০ জন মারা গিয়েছেন। এ নিয়ে মোট ১ লক্ষ ১৭ হাজার ৩০৬ জনের মৃত্যু ঘটেছে। তার মধ্যে ৪২ হাজার ৮৩১ জন মারা গিয়েছেন মহারাষ্ট্রেই। তামিলনাড়ু ও কর্ণাটকে মোট মৃত্যু সাড়ে ১০ হাজারের বেশি। উত্তরপ্রদেশ ও অন্ধ্রপ্রদেশে মৃত্যু সংখ্যা সাড়ে ৬ হাজারের আশেপাশে। দিল্লীতে তা ৬ হাজার ছাড়িয়ে বাড়ছে। তবে ভারতে কোভিড রোগীদের সুস্থ হওয়ার হার বেশ আশাব্যঞ্জক। এখনও পর্যন্ত মোট ৬৯ লক্ষ ৪৮ হাজার ৪৯৭ জন করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ৭৩ হাজার ৯৭৯ জন। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমতে কমতে দাঁড়িয়েছে ৬ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫০৯ জন।