সংসদের দুই কক্ষে পাস হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের সঙ্গে সঙ্গে কৃষি বিল আইনে পরিণত হয়েছে। তবে হাজার বিরোধিতা সত্বেও সংসদে বিতর্কিত কৃষি বিলগুলির পাশ হওয়া আটকাতে না পেরে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিকে ঘুরপথে এই আইন কার্যকর হওয়া আটকানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। সেই কাজেই এবার সচেষ্ট হল পাঞ্জাবের কংগ্রেস সরকার। রাজ্য বিধানসভায় তিনটি বিল পাশ করালেন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। সেই সঙ্গে সর্বসম্মতিক্রমে কেন্দ্রের নতুন কৃষি আইন বিরোধী প্রস্তাব পাশ করা হল পাঞ্জাব বিধানসভায়।
প্রসঙ্গত, আগেই সংবিধানের ২৫৪(২) ধারা ব্যবহার করে অন্তত কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিতে এই আইন কার্যকর না করার পরামর্শ দিয়েছিলেন সোনিয়া। সেই পরামর্শ মেনেই কৃষক বিদ্রোহের এপিসেন্টার পাঞ্জাবে নয়া বিল পাশ করাল রাজ্য সরকার। এই তিনটি বিকল্প কৃষি বিল সরাসরি কেন্দ্রের কৃষি বিলকে চ্যালেঞ্জ করছে। এই বিলগুলিতে বলা হয়েছে, সরকার কৃষকদের ফসল ন্যূনতম সমর্থন মূল্যে কিনতে বাধ্য। কেউ ন্যূনতম সমর্থন মূল্যের কম ধান কিনলে তাঁর তিন বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। বস্তুত, কৃষকরা যাতে সরকারি মান্ডির বাইরে ফসল বিক্রি করতে না পারেন তার সব বন্দোবস্তই করা হয়েছে নতুন আইনে।
সেই সঙ্গে কেন্দ্রের কৃষি বিল বিরোধী একটা প্রস্তাবও পাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এই আইনগুলি ভারতের সংবিধানের বিরোধী। কৃষি ক্ষেত্র যেখানে রাজ্য সরকারে এক্তিয়ারভুক্ত সেখানে রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করে সংবিধান বিরোধী কাজ করছে। বিধানসভার অধিবেশন শেষে মুখ্যমন্ত্রী নিজে গিয়ে এই প্রস্তাব রাজ্যপালের কাছে জমা দিয়ে এসেছেন। পাশাপাশি তিনি এই আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন যে এ জন্য কেন্দ্র তাঁর সরকার ভেঙে দিতে পারে। তবে, তাতে তিনি দমে যেতে রাজি নন। অমরিন্দরের কথায়, আমি ইস্তফা দিতে ভয় পাই না। আমার সরকারকে যদি বরখাস্ত করে তো করুক। কিন্তু কৃষকদের ক্ষতি হতে দেব না।